গলাচিপা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন দিনমজুরের পরিবার।
জানাযায়, উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের পক্ষীয়া গ্রামের মৃত্যু শামসুল হক ফরাজীর মেয়ে মোসাঃ বিউটি বেগম (৫০)পরিবার একটি মোটামুটি ভালো আশ্রয়স্থল এর অভাবে বহুবছর ধরে জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছেন।
এলাকাবাসী জানায়, বিউটি বেগম একজন গরীব অসহায় লোক। তার স্বামী মজিবর সরদার দিনমজুরী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪জন। বর্তমানে বিউটি বেগমের বসত: ঘরখানা খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। বসত:ঘরের আংশিক ভাংগা পুরাতন টিন ও পলিথিন দিয়ে ঢাকা। বর্ষার সময় ঘরের ছাউনী থেকে পানি পড়ে বাশঁ, খুটি, বিছানাসহ সব কিছু ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। একটু বন্যা হলেই ঘরটি পরে যাওয়ার আশংকায় উদ্বিগ্ন তারা। ঝড় বন্যা হলে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় বিউটি বেগমের পরিবারের। এঅবস্থায় বিউটি বেগম, স্বামী, ছেলে মেয়েকে নিয়ে খুবই মানবেতর ভাবে জরাজীর্ণ বসতঘরে জীবন-যাপন করছেন।
বিউটি বেগম জানান, বর্ষা কালে ঘরে পানি পড়ে বলে সারারাত ঘরের এক কোনায় জেগে রাত কাটাতে হয় পরিবারের সবার। আর এই ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বেশি করে অসুস্থ করে দিচ্ছে তাদের। অর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় ঠিকমত ঔষুধ কেনা হয়না তাদের। বর্তমানে তাদের ভাঙ্গা ঝুপড়ি নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারন রোদ বৃষ্টি কোন মৌসুমেই ঠিকমত থাকতে পারেন না। খেয়ে না খেয়ে থাকা যায় কিন্তু আশ্রয়স্থল যদি ঠিকনা থাকে তাহলে দিনরাত পার করা খুব মুসকিল। তিনি আরও জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের গরীবদের নাকি ঘর দেয়। আমাকে যদি সেখান থেকে একটি ঘর দেওয়া হত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকতাম।
এ বিষয়ে মোসাঃ বিউটি বেগমের স্বামী মজিবর সরদার জানান, আমি একজন দিনমজুর আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন। প্রতিদিন যা কাজ করি তা থেকে সংসারের বাজারই ঠিকমত চলে না। আমার পক্ষে কোন দিন ঘর তোলা সম্ভব হবে না। নেই কোন জায়গা, নেই কোন জমি, থাকি শশুর বাড়ির এক বারান্দায়। এ বলে মজিবর সরদার কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
এ বিষয় নিয়ে মোসাঃ বিউটি বেগমের ছোট ভাই মোঃ হেলাল উদ্দিন সাগরকন্যাকে বলেন, আমার বোন অসহায় থাকায় আমি আমার জমি থেকে ২শতাংশ জমি আমার বোন বিউটি বেগমের নামে দান করেছি। কেননা শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা হত দরিদ্রদের ঘর দেয়, আমার বোন বিউটি বেগমকে যদি একটি ঘর দেয় তাহলে সুন্দর ভাবে ঐ পরিবারটি জীবন যাপন করতে পারবে।
গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদী বলেন, আসলেই বিউটি বেগমের পরিবারটি অসহায়। সরকারী ভাবে তার পরিবারের জন্য একটি ঘর একান্ত প্রয়োজন। উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস.এম. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরির্দশন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা নির্বহিী অফিসার আশীষ কুমার বলেন, হত দরিদ্রদের জন্য ঘর এসেছে, প্রকৃত হত দরিদ্ররাই ঘর পাবে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. শাহীন শ্হা বলেন, হত দরিদ্রদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘর দিয়েছে এ ঘর হত দরিদ্ররাই পাবে।
পটুয়াখালী -৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সংসদ সদস্য এস.এম. শাহজাদা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ঘর গুলো হত দরিদ্রদের দিয়েছে পর্যায়ক্রমে সকল হত দরিদ্ররাই ঘর পাবে।
এসডি/এমআর