ঢাকা সারকন্যা অফিস॥
উপজেলা ভোটে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নির্বাচন ভবনে দ্বিতীয় ধাপের ১২৯ উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফ করেন তিনি। দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ এসব উপজেলায় ভোট হবে। এর আগে ১০ মার্চ হবে প্রথম ধাপের ভোট। সিইসি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনে রাখতে হবে আপনাদের দক্ষতার উপরে, পারদর্শিতার উপরে, নিরপেক্ষতার উপরে নির্ভর করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আমি আশা করি, কখনও কারও প্রতি কোনো রকমের দুর্বলতা আপনাদের থাকবে না। কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা একমাত্র প্রজাতন্ত্র এবং সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির উপর দায়বদ্ধ নন। কারও প্রতি কোনো রকমের দুর্বলতা, অনুরাগ, বিরাগ কোনোকিছু আপনাদের থাকবে না। কেবলমাত্র নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য যতটুকু করা দরকার ততটুকু আপনাদেরকে করতে হবে।
সিইসি বলেন, যদি কোথাও কোনো অনিয়ম হয়। প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত হয়ে যায়। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা যদি সিদ্ধান্ত দেয় যে, তার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয়ৃরিটার্নিং কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে নির্বাচন তার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত। তাহলে সে কমিশনে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করবে।
কেএম নুরুল হুদা বলেন, যারা উপজেলা পরিচালনা করবেন, সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় নেতৃত্ব নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে আপনাদের দক্ষ পরিচালনার ওপর নির্ভর করবে যে- কিভাবে সে নির্বাচন পরিচালিত হবে এবং কিভাবে তারা নির্বাচিত হবেন। সিইসি বলেন, সমন্বয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরাতো দূরে থাকবো। জেলা, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার, সংযুক্ত থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা এবং অংশগ্রহণ করবেন যারা প্রতিনিধিত্ব করতে চাইবেন, সেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভোটার। যাদের ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। আপনারা এসব লোকের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন। এরা আপনাদের প্রতি তাকিয়ে আছে- সুষ্ঠু, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করবেন এই প্রত্যাশায়।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। ইসির এ সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, জেলা পরিষদের সদস্য, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়া অনেক কলেজ সরকারি হয়েছে কিন্তু সেখানে যারা চাকরি করেন, যারা এখনো সরকারি হন নাই, তাদেরকেও উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করতে হলে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।
এফএন/এমআর