টুঙ্গিপাড়ায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে সুপেয় পানি পাবে ৩ হাজার পরিবার

প্রথম পাতা » ঢাকা » টুঙ্গিপাড়ায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে সুপেয় পানি পাবে ৩ হাজার পরিবার
বৃহস্পতিবার ● ২১ জানুয়ারী ২০২১


টুঙ্গিপাড়ায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে সুপেয় পানি পাবে ৩ হাজার পরিবার

গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে তিন হাজার পরিবারকে নিরাপদ ও সুপেয় পানি পৌঁছে দেবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় প্রথমে এ প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। এরপর পর্যায়ক্রমে  গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এ প্লান্ট স্থাপন করা হবে বলে জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের  নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদার বলেন, “প্রায় ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নিরাপদ পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী ও কুশলী ইউনিয়নে দুটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় পাটগাতী প্লান্ট  থেকে ঘণ্টায় ১ লাখ ৫০ হাজার লিটার নিরাপদ পানি উৎপাদন হচ্ছে।  এছাড়া পাইপ লাইনের মাধ্যমে সংযোগ দিয়ে দিনে দুইবার দুই হাজার পরিবারকে সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে কুশলী ইউনিয়নে  প্লান্ট স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। প্লান্ট থেকে ঘণ্টায় ৫০ হাজার লিটার পানি উৎপাদন করা হবে। এ পানি সরবরাহ ফ্লান্ট থেকে  জানুয়ারীর শেষ দিকে কুশলী ও বর্ণি ইউনয়নের ১ হাজার ৫০০ পরিবারে সুপেয় পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।  প্রকল্পটি সম্প্রসারণ করে গোটা জেলার সব গ্রামকে নিরাপদ পানির আওতায় আনা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী প্রদীপ মজুমদার বলেন, পাটগাতী, কুশলী ও বর্ণি ইউনিয়নে গভীর নলকূপ স্থাপন করা যায় না। এসব ইউনিয়নের অগভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আয়রণ ও আর্সেনিক রয়েছে। এছাড়া খালের পানিতে শুস্ক মৌসুমে লবন চলে আসে। নিরাপদ পানির অভাবে তিনটি ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ডায়রিয়া, আমাশয়, টায়ফয়েডসহ পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হতো।
এ তিন ইউনিয়নের সব মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে দুটি পানির প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এ প্লান্টে চার স্তরে পানি ফিল্টার করা হয়। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে ২ হাজার পরিবার সুপেয় পানির আওতায় এসেছে। আরো ১ হাজার ৫০০ পরিবার দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
পাটাগাতী ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামের মো. হাফিজ বিশ্বাস বলেন, আমাদের ইউনিয়নে নিরাপদ পানির বড় অভাব ছিল। এখন পানির প্লান্ট স্থাপন করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা।

এইচবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:৫৪:৪৪ ● ৩১৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ