কলাপাড়ায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় ফোরলেন শেখ হাসিনা সড়ক
প্রথম পাতা »
পটুয়াখালী »
কলাপাড়ায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় ফোরলেন শেখ হাসিনা সড়ক
রবিবার ● ২০ ডিসেম্বর ২০২০
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে দক্ষিণ জনপদে উন্নয়নের আরেক মাইলফলক ফোরলেন “শেখ হাসিনা সড়কের” নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরের সড়ক পথে পণ্য খালাশের কার্যক্রম শুরুর আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল এই সড়কটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে।
পায়রা বন্দর থেকে কুয়াকাটা-ঢাকাগামী মহাসড়কের সংযোগ রজপাড়া পর্যন্ত পাঁচ দশমিক ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি এখন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায়। প্রধানমন্ত্রী এ সড়কটির উদ্বোধন করবেন বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণের এক সময়ের অবহেলিত কলাপাড়ার এই জনপদকে বিস্ময়কর উন্নয়নের ধারায় নিয়ে গেছেন। করেছেন আলোকিত জনপদে। যেখানে আরেক নবদিগন্তের উম্মোচনের অপেক্ষায় সাগরপারের মানুষ। কলাপাড়া মানুষ এখন বিকেল হলেই দৃষ্টিনন্দন অত্যাধুনিক ফোরলেন শেখ হাসিনা সড়কটিতে ঘুরতে যায়। পরিজন নিয়ে একটু স্বস্তির পরশ খোঁজে সড়কটিতে ভ্রমণ করে। কুয়াকাটায় যাওয়া-আসা পর্যটকরা থমকে দাড়ায় দৃষ্টিনন্দন সড়কটির প্রবেশদ্বার দেখতে পেয়ে। সড়কটির জিরো পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে শান্তির প্রতীক পায়রার (কবুতর) ডানা মেলা অবয়ব। এখানে আগতরা সুখকর স্মৃতি নিয়ে ফেরেন। মূহুর্তটি ধওে রাখেন সেলফিসহ ছবি তোলার মধ্য দিয়ে। দেখেন অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে; কীভাবে অনগ্রসর, পেছনে থাকা জনপদ ও সেখানখার মানুষকে সামনে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখানকার মানুষও নিজেদের দক্ষ করে তাল মেলাচ্ছেন দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায়। করে নিচ্ছেন নতুন কর্মসংস্থান।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের পহেলা জানুয়ারি তৎকালীন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি পায়রা বন্দরের এই ফোরলেন সড়কটির কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনসহ নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পাঁচ দশমিক ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ ২৪ মিটার প্রস্থ আধুনিক সুবিধা সংবলিত সড়কটি নির্মাণে ব্যয়-বরাদ্দ রয়েছে ২৫৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্নের কথা থাকলেও পরবর্তীতে এর সময়কাল বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সড়কটির নির্মাণ কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স। সড়কটিতে রয়েছে পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন কালভার্ট। সড়কটি করতে কৃষিখেতে বহমান খাল রক্ষায় এসব কালভার্ট করা হয়েছে। কংক্রিটের তৈরি সড়কটির দুই দিকের স্লোপে ঘাসের গালিচার ওপরে গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন করতে মাঝখানের ডিভাইডারে শোভাবর্ধন জাতের গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। গাছগুলো লক লক করে বেড়ে উঠছে। গোটা সড়কটিতে রাতে জ¦লছে বৈদ্যুতিক আলো। সড়কটির কালভার্ট স্পটগুলোতে দৃষ্টিনন্দন ছাপ রাখা হয়েছে। সড়কটি নির্মাণে ৫৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সড়কটি নির্মাণের ফলে পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়কপথেও পণ্য খালাসের পথ সুগম হলো। এখন এ সড়কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় মুখিয়ে আছেন কলাপাড়ার পায়রা বন্দর এলাকার সকল মানুষ। উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট নৌপথে পায়রা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ২০১৩ সালের ১৯ নবেম্বর তিনি পায়রা বন্দরের শুভ উদ্বোধন করেন।
এমইউএম/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৮:৪৭ ●
৪৪১ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)