আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলার টেপুরা গ্রামের শহীদুল ইসলাম মাতুব্বর (৪৫) নামের এক কৃষককে সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম গাজী, জহিরুল ইসলাম গাজী ও রাফি গাজী পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বুধবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) চারজনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার টেপুরা গ্রামের নজরুল গাজীর সাথে শহীদুল ইসলাম মাতুব্বরের পারিবারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার বিকেলে নজরুল ইসলাম গাজী জোর করে শহীদুল ইসলামের খেসারীডাল ক্ষেতে ছাগল বেঁধে রাখে। ছাগলের মালিক না পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় শহীদুল ইসলাম ছাগল নিয়ে বাড়ী ফিরছিল। এমন মুহুর্তে নজরুল ইসলাম গাজী, তার ভাই জহিরুল ইসলাম গাজী ও ছেলে রাফি গাজী এসে শহীদুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর করে। তার ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে এলেও তাদের ভয়ে কেউ শহীদুলকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। শহীদুল জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা ছাগল নিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা এসে ওই রাতে শহীদুলকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। ওই রাতেই তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মাহবুব আলম মাতুব্বর বাদী হয়ে নজরুল ইসলাম গাজীকে প্রধান অভিযুক্ত করে চার জনের নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ইসহাক সিকদার ও তাসলিমা বলেন, নজরুল গাজী ও তার লোকজন শহীদুল ইসলাম মাতুব্বরকে পিটিয়েছে।
আহত শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার খেসারী ক্ষেতে নজরুল গাজী জোর করে ছাগল বেধে ডাল খাওয়াচ্ছিল। আমি ওই ছাগল বাড়ী নিয়ে আসার সময় সন্ত্রাসী নজরুল গাজী, তার ভাই জহিরুল ইসলাম গাজী ও ছেলে রাফি গাজী আমাকে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, নজরুল গাজী ও তার পরিবারের লোকজন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায়। তাদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তারা জোর জুলুম করে এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই তাকে মারধর করে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
নজরুল ইসলাম গাজী স্ত্রী রেখা বেগম বলেন, শহীদুল অশিক্ষিত লোক, কাউকে ইজ্জত দেয়না। ছাগল নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় আমার স্বামী মারধর করেছে।
আমতলী থানায় এসআই আলাউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, শহীদুলের দুই হাত ভেঙ্গে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠিয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর