রাজাপুরে জামায়াত নেতার মামলায় ৭পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

প্রথম পাতা » ঝালকাঠী » রাজাপুরে জামায়াত নেতার মামলায় ৭পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ
সোমবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২০


রাজাপুরে জামায়াত নেতার মামলায় ৭পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ


ঝালকাঠি সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥


ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি হেমায়েত উদ্দিনের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিরোধে পশ্চিম চর বগড়ি গ্রামের একটি পরিবারের নামে ৭টিসহ ৭পরিবারের সদস্যদের নামে চাদাবাজিসহ একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মামলাবাজ উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারির আতঙ্কে রয়েছে।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিম চর বাঘরী গ্রামের মৃত আইউব আলি সিকদারের ছেলে এমাদুল হক সিকদার খোকন লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার জে.এল ৪৮ নং পশ্চিম চর বাঘরী মৌজার এস.এ ৯৪ নং খতিয়ানের এস.এ ৩০৭ নং দাগের মোট ৪৪ শতাংশ জমির মধ্যে কবলা ও পৈত্রিক সূত্রে আমি ১০ শতাংশের মালিক। আমার প্রতিপক্ষ উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি মোঃ হেমায়েত উদ্দিন বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০৭, ৩৩০ ও ৩৩১ নং দাগে থেকে পৌনে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করে। হেমায়েত উদ্দিন ওই পৌনে ১২ শতাংশ জমি থেকে ১৯৯৮ সালে ২৯ এপ্রিলে ৮৯১ নং দলিলমূলে ৭ শতাংশ লিলি ও মোদাচ্ছের ও শিরিন আক্তারদের কাছে জমি বিক্রি করে। কিন্তু বিক্রির পরেও তিনি আমার পিতা আইউব আলী সিকদারের নামে ভূয়া এওয়াজ দেখিয়ে শুধু মাত্র ৩০৭ নং দাগ থেকে জোরপূর্বক পুরো পৌনে ১২ শতাংশ জমি ভোগ দখলের চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি আমার কাগজপত্র সঠিক থাকার পরেও নানাভাবে আমার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বারবার মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে আসছে। আমার বিরুদ্ধে তার জমির গাছ কাটা ও চাঁদা দাবীসহ বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে মোট ৭টি মিথ্যা মামলা দেয়। বিগত ১ নভেম্বর আমাকেসহ মোট ৬ জনকে আসামী করে ঝালকাঠি আদালতে সি.আর ১৪০/২০(আর) একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।

সংবাদ সম্মেলনে এমাদুল হক সিকদার খোকন লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে আরও বলেন, জামাতের লোক বা নেতারা কত কৌশলী তাহা দেশবাসী জানে। তার সাথে বুদ্ধিদাতা লোক রয়েছে। এরা যে কোন সময় আমার বসতঘরে অবৈধ বস্তু রেখে আইনের কাছে দোষি বানাতে পারে। জামাতের লোকজন বোমাবাজ। হেমায়েতের ছেলে মোঃ ফিরোজ বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছিল। সে আমাকে দেখিয়ে দেয়ার হুমকী দিয়ে আসছে। বর্তমানে সে গোপনে দল গঠনের কাজ করছে। জামাতের লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে আমাকে হত্যাসহ আমার পরিবারের যে কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে। এই জামাত নেতার ভয়ে আমি ও আমার পরিবার আতংকিত হয়ে পড়েছি। এমাদুল হক সিকদার খোকন ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তিভোগী ৭টি পরিবারের মধ্যে আব্দুর রহমান, হিরু সিকদার, হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুর রহমান অভিযোগ করেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে ৩ মাস পূর্বে তার দখলীয় জমির ৪টি গাছ কাটলেও ওই গাছ জামায়াত সেক্রেটারি হেমায়েত উদ্দিন দাবি করে মিথ্যা মামলা দেয়াসহ দীর্ঘদিন ধরে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এছাড়াও রহমানের নামে এছাড়াও বিপ্লব সিকদার, জয়নাল সিকদার, সোহরাপ হোসেনের নামেও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে জানা গেছে। এ জামাত নেতার মিথ্যা হয়রানী মূলক মামলা থেকে বাঁচার জন্য এবং অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টা থেকে বাঁচার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি হেমায়েত উদ্দিন বলেন, ‘‘খোকন সিকদারের পিতার এওয়াজ বদল করে আমাকে দেয়া আমার জায়গায় এখন খোকন সিকদার ঘর দরজা উঠিয়ে দখল করতে গেছে। লোকজন নিয়ে আমার ২৫ বছর আগের লাগানো ১০টি গাছ কেটে নিয়েছে এবং আরও ১০ টি গাছ কেটে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি, চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছে, তারা কোন শালিশ ব্যবস্থা মানে না। শেষে আদালতে মামলা দিতে বাধ্য হয়েছি।’’

 

 

আরআর/এমআর

 

 

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৯:৫৬ ● ৪৫১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ