গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের মাছপাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে একটি ছোট সড়ক চলে গেছে পশ্চিম মাছপাড়া পর্যন্ত। সড়কটি দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন কিলোমিটার এর মধ্যে দুই কিলোমিটার খুবই ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা, চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে সড়কটি আরো খারাপ হলে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়ে। এলাকার মানুষের দুর্ভোগের থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সড়কটি সংস্কারের জন্য এগিয়ে আসেন বিশিষ্ট পল্ট্রি ব্যবসায়ী নিত্যানন্দ বিশ্বাস ও বিষ্ণুপুর জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যাম গোপাল বিশ্বাস।
শ্যাম গোপাল বিশ্বাস ও ব্যাবসায়ী নিত্যান্দ বিশ্বাস বলেন, মাছপাড়া চৌমুহনী থেকে পশ্চিম মাছ পাড়া পর্যন্ত যে সড়কটি এই সড়ক দিয়ে শুধু এখানকার জনগনই নয় পাশের গোপালগঞ্জ সদর ও রাজৈর এর হরিনগর গ্রামের লোকজন ও এলাকার কৃষি পন্য নিয়ে প্রধান সড়কে উঠতে হয়।
এছাড়া সরকারি শেখ রাসেল কলেজের ও বিনয় কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এদিকে দিয়ে যেতে হলে এই সড়কটিই ব্যাবহার করতে হয়।
এই সড়কটি আজ থেকে তিন-চার বছর সংস্কার বিহীন অবস্থায় পড়ে আছে, গত বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার পর সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ইতি পূর্বে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে জানাই, ওনারা আমাদেরকে বলেন সড়কটি এলজিইডি অফিসে দেওয়া হয়েছে। যথারীতি হয়ে যাবে। এই ভাবে আমরা চার-পাঁচ বছর অপেক্ষার পরও সড়কটি এখনো সংস্কার হয়নি। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের চলাচল ও কোটি কোটি টাকার কৃষি পন্য এবং মাছ উৎপাদিত হয়। এগুলো বহনের জন্য সড়ক সংস্কারের অভাবে প্রতিবছর অনেক কৃষিপণ্য নষ্ট হয়ে যায়।এমনকি ন্যায্য মূল্য থেকে কৃষকগণ বঞ্চিত হয়। এসব কারণে আমরা আজকে ব্যক্তি উদ্যোগে এবং এলাকার জণ দশেক সচেতন ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু করি। আজ প্রায় বিশ দিন যাবত ১৫-২০ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করি। এখানে আমাদের ইট, বালি কিনতে হচ্ছে । বাঁশ কিনে পাইলিং দিতে হচ্ছে। এতে আমাদের তিন লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে । আমরা যেটুকু করেছি তাতে ভ্যানও ছোট পিকাপ ভ্যান চলাচল করতে সক্ষম হয়।
সরকার যদি একটু শুভ দৃষ্টি রাখেন তাহলে আমাদের সড়কটি ভালোভাবে সংস্কার করা সম্ভব হবে এতে এই এলাকার সাধারণ জনগণ সহ কৃষক, শ্রমিক এবং শিক্ষার্থীদের প্রভুত উপকার পাবেন।
এলাকাবাসি জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কটি ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার আবেদন নিবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি।
গত বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে ও বন্যার কারণে পানিতে ডুবে গেলে সড়কটি আরো বেশি বেহাল দশায় পরিনত হয়। খানাখন্দ ও গর্ত হয়ে সড়কে আরো বেশি খারাপ অবস্থা হয়।
এই সড়ক দিয়ে যানবাহন দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়। আহত হয়েছেন অনেকেই।
এমতাবস্থায় আমাদের এলাকার বিশিষ্ট পল্ট্রি ব্যবসায়ী নিত্যানন্দ বিশ্বাস ও প্রধান শিক্ষক শ্যাম গোপাল বিশ্বাস সহ আরো কয়েকজন মিলে সড়কটি সংস্কার করায় আমাদের অনেক উপকার হয়েছে।
কলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা জানান, মাছপাড়া চৌমুহনী থেকে পশ্চিম মাছপাড়া পুলিন বিশ্বাসের বাড়ী পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কটি ইট বিছানো সহ পিচ করার জন্য এলজিইডিতে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, পাশ হলেই কাজ শুরু করা হবে।
এইচবি/এমআর