দশমিনায় লাঠিয়াল বাহিনীর ধান লুঠ ঠেকাতে পাহারা

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দশমিনায় লাঠিয়াল বাহিনীর ধান লুঠ ঠেকাতে পাহারা
রবিবার ● ২২ নভেম্বর ২০২০


দশমিনায় লাঠিয়াল বাহিনীর ধান লুঠ ঠেকাতে পাহারা

দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দশমিনার চরাঞ্চলে ধান কাটার মৌসুম শুরু হলেই লাঠিয়াল বাহিনীর আতঙ্ক দেখা দেয় মনে ফলে কৃষকের পাশাপাশি পুলিশি নজরদারীতে রয়েছে চলতি বছরের পাকা ধান। পূর্ব সতর্কতা হিসাবে পুলিশ প্রশাসন পাহারা বসিয়েছে। ধান কাটার মৌসুম শুরু হলেই লাঠিয়াল বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যায়।
জানা যায়, আন্তঃ জেলা সীমানা বিরোধ নিয়ে জটিলতা এবং উপজেলার আওতাধীন চরগুলোর সীমানা নির্ধারন না করায় দীর্যদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে । পটুয়াখালীর দশমিনা-গলাচিপা এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলার সীমানা বিরোধ প্রায় ৭৮বছর ধরে চলছে। এই সীমানা বিরোধ এবং চরের জমির প্রকৃত মালিক নিয়ে বিরোধ সমস্যার কোন সমাধান করা হয়নি আজও। ফলে প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুম শুরু হলেই চরাঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠে। ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চর মোতাহার এবং পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চরশিবা এবং দশমিনা উপজেলার চরবোরহান এবং ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার চর কচুখালীর সঙ্গে সীমানা বিরোধ রয়েছে। ধান কাটার সময় হলেই  জোতদাররা চরের জমির ভূয়া দলিল ও ডিসিআর’র মাধ্যমে জমির মালিক হয়ে যায়। ভূমিহীন কৃষকরা রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ধান রোপন করলেও ধান কাটার মৌসুমে তারা আতংকে থাকে। দশমিনা উপজেলার চরাঞ্চলগুলোর চারদিকে নদী থাকায় মূল ভূ-খন্ড থেকে চরগুলো বিছিন্ন থাকে। ফলে কোন চরে সমস্যা হলে পুলিশের পৌছতে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা সময় লাগে।
এ ব্যাপারে চরবোরহান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজির আহম্মেদ সরদার জানান, চরবোরহানের সাথে চরশিবার মধ্যে ৫শ’ একর জমির ধান নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছি।
এ ব্যাপারে দশমিনা থানা ওসি মোঃ জসিম জানান, চরাঞ্চলে পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া সকল ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।

এসবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৯:১৯ ● ২৭১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ