আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলার কাউনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ রবিবার (৮ নভেম্বর) গভীর রাতে ধর্ষক রুবেল খলিফা (২৮) ও ধর্ষণে সহায়তাকারী রাশিদাকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার পুলিশ দুই আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায়।
জানাগেছে, উপজেলার কাউনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পাশর্^বর্তী বাড়ীর রাশিদা বেগম কাজের কথা বলে ডেকে নেয়। পরে স্কুল ছাত্রীর মুখ বেঁধে ঘরের দোতালায় উঠিয়ে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণে সহায়তাকারী রাশিদা পাহারা দেয়। ধর্ষক রুবেল খলিফা স্কুল ছাত্রীর মুখ বেধে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ছাত্রীর ডাক চিৎকার দিলে রাশিদা ঘরে উঠে ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে। ঘটনার ঘন্টাখানেক পরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তার স্বজনদের বলে দেয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে রুবেল খলিফা ও রাশিদাকে আসামী করে ছাত্রীর দাদা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯ (১) ধারায় আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রবিবার গভীর রাতে দুই আসামীকে গ্রেফতার করে। সোমবার ধর্ষক রুবেল ও ধর্ষণে সহয়তাকারী রাশিদাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতে স্কুল ছাত্রী ২২ ধারায় এবং ধর্ষক রুবেল ও রাশিদার ১৬৪ ধারায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন জবানবন্দি শেষে দুই আসামীকে বরগুনা জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে ওইদিনই পুলিশ বরগুনা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। ধর্ষক রুবেলের বাড়ী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের বৈঠাকাটা গ্রামে এবং রাশিদার বাড়ী একই ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামে। ধর্ষক রুবেলের বাবার নাম সেরাজ খলিফা এবং রাশিদার স্বামীর নাম হানিফ মিয়া। রুবেল সম্পর্কে রাশিদার ভাইজি জামাই।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন রাশিদা দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়ীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু ও মেয়েদের ধরে এনে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে।
ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, রাশিদা আমাকে কাজের কথা বলে তার ঘরে ডেকে নেয়। সে আমার মুখ চেপে ধরে তার ধরের দোতালায় উঠিয়ে দরজা বন্ধ করে বাহিরে বের হয়ে যায়। পরে রুবেল আমার মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। আমি ডাক চিৎকার দিলে রাশিদা এসে আমার মুখ চেপে ধরে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় দুই জনের নামে মামলা হয়েছে। দুই আসামী গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
এমএইচকে/এমআর