কাউখালীতে পোকা দমনে ‘পার্চিং’ পদ্ধতি জনপ্রিয়

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » কাউখালীতে পোকা দমনে ‘পার্চিং’ পদ্ধতি জনপ্রিয়
রবিবার ● ৮ নভেম্বর ২০২০


কাউখালীতে পোকা দমনে ‘পার্চিং’ পদ্ধতি জনপ্রিয়

কাউখালী (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার আমন ধান ক্ষেতের  পোকা দমনের পাচির্ং পদ্ধতির কৃষকদের কাছে বিগত বছরগুলোর  চেয়ে এবার আরো ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জানা গেছে,এ সময়েই নানা প্রজাতির পোকার আক্রমণে ধানের গাছের ব্যপক ক্ষতি হয়ে থাকে এবং ফলশ্রুতিতে ফলনও অনেক কম হয়। কিন্তু এলাকার কৃষকেরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে  তারা ধানের চারা লাগানোর সময়ই প্রতিটি ক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
ফলে এখন তারা পার্চিং পদ্ধতিতে পোকা দমন করে সুফল পাচ্ছেন এবং কোন প্রকার বালাইনাশক (কীটনাশক/বিষ) ব্যবহার না করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতি থেকে  রেহাই পাচ্ছেন। এ উপজেলার কৃষকরা তাদের আমন ধান ক্ষেতের বিভিন্ন স্থানে বাঁশের আগা, বাঁশের কঞ্চি, গাছের ডাল পুঁতে দিয়েছেন। এসব বাঁশের আগা, বাঁশের কঞ্চি, বাঁশের মাচাল বা আড়, গাছের ডালে নানা ধরনের পাখি বসে ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলছে এবং পাখি ওই পার্চিং-এ বসে ক্ষণিক সময়ের বিশ্রামও নিচ্ছে।
এভাবে কীটনাশক ছাড়াই পোকার আক্রমণ থেকে ধান গাছ রক্ষা পাচ্ছে বলে কৃষকরা জানান এবং তারা ডেড পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে পোকা দমনে অনেকটা সফল হয়েছেন। ফসলের জমিতে পাখি বসার উপযোগী বাঁশের আগা, বাঁশের কঞ্চি, বাঁশের মাচাল বা আড়, গাছের ডাল পুঁতে যে পার্চিংয়ের ব্যবস্থা করা হয় তাকে ডেড পার্চিং বলে বিভিন্ন গ্রামে আমনখেতে  পোকা দমনে কৃষকেরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে জমিতে কিছু দূর পরপর গাছের ডাল পুঁতে দিচ্ছেন। ওই ডালগুলোতে বিভিন্ন রকমের পাখি বসছে এবং ধানখেতের  পোকা খেয়ে ফেলছে। এভাবে কীটনাশক ছাড়াই  পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছ রক্ষা পাচ্ছে।অল্প সময়ের মধ্যে পদ্ধতিটি স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
কাউখালী উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে।
কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আজিম শরীফ বলেন, কৃষকদের কাছে পোকা দমনের পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার আরো ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সাধারণত ধান গাছে মাজরা পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, খাটসুর, ঘাসফড়িং ও পাতাফড়িং আক্রমণ করে। পোকাখাদক পাখি জমিতে পুঁতে রাখা পার্চিংয়ে বসে এসব ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে। ফলে এর মাধ্যমে অতি সহজেই ক্ষতিকর  পোকা দমন করা সম্ভব হচ্ছে। এটা পরিবেশবান্ধব এবং এই পদ্ধতি ব্যবহারে জমিতে ক্ষতিকারক কীটনাশক ব্যবহার কমবে।

আরএইচআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৩:১৫ ● ৪৬৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ