কলাপাড়ায় অবৈধ বাঁধ, সুক্ষ্ম ফাঁসের জাল অপসারণে অভিযান

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় অবৈধ বাঁধ, সুক্ষ্ম ফাঁসের জাল অপসারণে অভিযান
শুক্রবার ● ৬ নভেম্বর ২০২০


কলাপাড়ায় অবৈধ বাঁধ, সুক্ষ্ম ফাঁসের জাল অপসারণে অভিযান

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥


জলাবদ্ধতার কবল থেকে কৃষকের আম ফসল রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস খালের অবৈধ বাঁধ এবং সুক্ষ্ম ফাঁসের জাল অপসারন অভিযানে নেমেছে। কৃষকের আমন ক্ষেতের পানি নিষ্কাশনের জন্য এমন অভিযানে বৃহস্পতিবার দুপুরে টিয়াখালীর রজপাড়া এলাকায় পায়রা ফোর লেন সড়কের কালভার্টের নিচের খালের জাল জব্দ করেছে। খালের অন্যসব জাল ও একটি অবৈধ বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।
সেখানকার কৃষকরা এ অভিযানে স্বতস্ফুর্তভাবে সহায়তা করে আসছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান জানান, পর্যায়ক্রমে সকল খালের বাঁধ অপসারন এবং পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা সুক্ষ্ম ফাঁসের জাল অপসারনে অভিযান চালানো হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। টিয়াখালীর রজপাড়ার কৃষকরা জানান, অতি বৃষ্টির কারণে জমে থাকা পানি এসব জাল এবং বাঁধের কারণে স্লুইস গেট দিয়ে ঠিকমতো নামতে পারছে না। পচে গেছে আমনের ক্ষেত। এখন আর কয়দিন পরে ধানের শীষ বের হবে। পানি নামতে না পারার কারণে শত শত একর আমন ক্ষেতে পচন ধরেছে। শ্যাওলায় খোল পচে যাচ্ছে। একমাত্র আমন ফসল নষ্ট হয়ে গেলে না খেয়ে থাকতে হবে। কৃষক মো. খলিল হাওলাদার জানান, ৬৪ বিঘা জমি চাষাবাদ করেছেন। খালে বাঁধের পর বাঁধ দেয়ায় পানি নামার পথ সরু হয়ে গেছে। নিচু জমির আমন চারা পচে গেছে। মিজানুর রহমান জানান, ৮০ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন। জলাবদ্ধতার কারণে ৩৬ বিঘার ফসলহানির শঙ্কায় পড়েছেন। অধিকাংশ চাষীর দশা একই। জানালেন এ চাষী প্রায় ১৩টি বাঁধ দেয়া হয়েছে মাস্টারবাড়ি থেকে হেতালবাড়িয়া স্লুইস পর্যন্ত। এলাকার ছত্তার, বজলু, কামালসহ স্থানীয় মেম্বার পর্যন্ত বাঁধ দিয়ে জাল পেতে মাছ ধরছে। স্থানীয়ভাবে বাড়ৈর বিলের পানি নামার কোন সুযোগ রাখেনি বলেও তাদের অভিযোগ। কোন উপায় না পেয়ে পচে যাওয়া আমনের চারা নিয়ে বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এবং উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে গিয়েছেন। এসব কৃষকের চোখেমুখে হতাশার ছাপ রয়েছে। কারণ আমনের ফসল মার খেলে সারা বছরের খোরাকি সংগ্রহ করতে পারবে না। কৃষক খালের বাঁধ অপসারন করে ফসল রক্ষার দাবি করেছেন। এসব কৃষক জানান যেখানে কানি (আট বিঘা) জমিতে ১০০/১৫০ ধান পাওয়ার কথা। সেখানে ১০ মনও পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সকলের আশঙ্কা যদি জলাবদ্ধতা কাটানো যায় তাইলে এখনও কিছু ফলন ঘওে তুলতে পারবে বলে সকল কৃষকের মতামত। তবে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জলাবদ্ধতা নিরসনে খালের বাঁধ এবং সুক্ষ্ম ফাঁসের জাল অপসারনের অভিযানে কৃষকের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে এসেছে।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৩:২২ ● ৩৯৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ