কলাপাড়ায় স্লুইস খালে বাঁধ, জলাবদ্ধতায় ফসলের সর্বনাশ

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় স্লুইস খালে বাঁধ, জলাবদ্ধতায় ফসলের সর্বনাশ
বুধবার ● ৪ নভেম্বর ২০২০


কলাপাড়ায় স্লুইস খালে বাঁধ, জলাবদ্ধতায় ফসলের সর্বনাশ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥


স্লুইসখালে একের পর এক বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার লোকজনের কারনে জলাবদ্ধতার কবলে শত শত একর নিচু জমির আমন ধানের চারা পচে গেছে। দিশাহারা কৃষক এদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলীর শতাধিক কৃষক এখন আমন ফসল হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন। ইতোমধ্যে এসব কৃষকের আমনের অর্ধশত একর জমির আমন চারা পচে গেছে। আর কয়দিন পরে এসব চারায় থোর ধরে শীষ বের হওয়ার কথা। এখন যেন চোখের সামনে সব পানিতে পচে যাচ্ছে। কানি জমিতে ১০ মণ ধান পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। অথচ কানি (আট বিঘা) জমিকে শত মণ ধান পাওয়ার কথা। একটি মাত্র ফলন আমনের এমন সর্বনাশে কৃষক এখন প্রতিকারের আশায় ঘুরছে ইউএনও অফিস, কৃষি অফিসের দ্বারে দ্বারে।
কৃষক মো. খলিল জানান, ৬৪ বিঘা জমি চাষাবাদ করেছেন। খালে বাঁধের পর বাঁধ দেয়ায় পানি নামার পথ সরু হয়ে গেছে। নিচু জমির আমন চারা পচে গেছে। মিজানুর রহমান জানান, ৮০ বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন। জলাবদ্ধতার কারণে ৩৬ বিঘার ফসলহানির শঙ্কায় পড়েছেন। অধিকাংশ চাষীর দশা একই। জানালেন এ চাষী প্রায় ১৩টি বাঁধ দেয়া হয়েছে মাস্টারবাড়ি থেকে হেতালবাড়িয়া স্লুইস পর্যন্ত। এলাকার ছত্তার, বজলু, কামালসহ স্থানীয় মেম্বার পর্যন্ত বাঁধ দিয়ে জাল পেতে মাছ ধরছে। স্থানীয়ভাবে বাড়ৈর বিলের পানি নামার কোন সুযোগ রাখেনি বলেও তাদের অভিযোগ। কোন উপায় না পেয়ে পচে যাওয়া আমনের চারা নিয়ে বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এবং উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ে এসেছেন। এসব কৃষকের চোখেমুখে হতাশার ছাপ রয়েছে। কারণ আমনের ফসল মার খেলে সারা বছরের খোরাকি সংগ্রহ করতে পারবে না। কৃষক খালের বাঁধ অপসারন করে ফসল রক্ষার দাবি করেছেন। ইউএনও আবুল হাসানত মোহাম্মদ শহিদুল হক এবং কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান আজ-কালের মধ্যে সরেজমিনে গিয়ে খালের বাঁধ কেটে পানি অপসারনের উদ্যোগ নেয়া হবে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় সকল খালে বাঁধ দিয়ে এবং স্লুইস নিয়ন্ত্রণ করে মাছ শিকার করছে একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্র। এবাহিনী দমন করতে না পারলে কৃষকের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণœ হচ্ছে।

এমইউএম/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৮:০৭ ● ৩২১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ