চরফ্যাশনে আনসার ভিডিপি’র দলনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযাগ

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » চরফ্যাশনে আনসার ভিডিপি’র দলনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযাগ
সোমবার ● ২৬ অক্টোবর ২০২০


চরফ্যাশনে আনসার ভিডিপি’র দলনেত্রীকে ধর্ষণের অভিযাগ

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

চরফ্যাশন উপজেলার সাবেক কর্মকর্তা বর্তমানে বরিশালের মুলাদীর আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আবু বক্করপুর ইউনিয়ন দলনেত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। সোমবার (২৬ অক্টোবর) তিনি উপ-পরিচালক, বরিশাল রেঞ্জ বরাবর বিচার দাবী করে লিখিত অভিযাগ করেছেন। অনুলিপিও বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে জানাযায় চরফ্যাশনের সাবেক কর্মকর্তা, বর্তমানে মুলাদীর আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও টিআই ফরিদা বেগম চরফ্যাশন উপজেলায় থাকা কালীন ১৭অক্টোবর/১৭ তারিখে আমার বাসায় যায় এবং রাত্রি যাপন করেন। ওইদিন রাত্রে ৮.১৫ মিনিটে সে আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি টেরপেয়ে বাড়ির লোকজন সবাইকে ডাকেন এবং আমার বাসায় বিচার বসায়। চরফ্যাশন উপজেলার আবুবকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ জমাদারের উপস্থিতিতে শালিশ বৈঠকে আমাকে ওই এলাকা থেকে ঘর বাড়ী ভেঙ্গে বাপের বাড়ীতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে স্ট্যাম্পে চুক্তিনামার মোচলেকা দিয়ে আমি বাপের বাড়ীতে চলে গেলে প্রবাসী স্বামী আমাকে ডির্ভোস দেয়। পরে আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান গোপনে আমাকে ইসলামী শরিয়াহ্  মোতাবেক বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদায় বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করেছেন। বিষয়টি আনসার ভি.ডি.পি অফিসসহ স্থানীয় সকলে জানেন। ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ইং সাল পর্যন্ত চরফ্যাশন আনসার ভি.ডি.পি থাকালীন আমাকে স্ত্রী হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সে আমাকে সব জায়গায় স্ত্রী হিসেবে চলাফেলা করিতেন বরিশাল হোটেলে রাত্রী যাপন করেছেন। বরিশালের একটি (নাম জানিনা) চার তলার হোটেলের পৃথক পৃথক ভাবে আমাকে নিয়ে ৫০২ আর ৩৫০ নম্বর রুমে রেখেছে। ওখানে রেজিষ্টারে আমাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নাম লেখাইয়াছেন।  মিজানুর রহমান আমার কাছ থেকে দৌঁলতখানে নিজের বসত ঘর করার জন্য ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছে।
মুলাদিতে বদলি হওয়ার পর থেকে ভরণ পোষন দেয়া বন্ধ করে দেয় ও নানা টালবাহানায় তার প্রতারণা প্রকাশ পায়।
বর্তমানে আমি খুবই অসহায় আমাকে বিয়ের কথা বলে কাবিন না করে প্রতারণা করেছেন। স্বামী স্ত্রীর ন্যায় বসবাস করে আমাকে ব্যবহার করেছেন। এলাকায় আমার সব মান ইজ্জত নষ্ট করেছেন। আমার কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছে। আমি এর বিচার দাবী করি।
এই ব্যপারে বরিশাল মুলাদী উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমাপনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। এ ব্যপারে ততকালিন চরফ্যাশন বর্তমানে দৌলতখাঁন উপজেলা আনসার ভিডিপির টিআই ফরিদা বেগম বলেন, আমি এই ব্যপারে কিছু জানিনা।

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:০৫:৫৮ ● ৪৫৫ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ