আমতলীতে মাছ চুরির বিচার দাবি

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে মাছ চুরির বিচার দাবি
মঙ্গলবার ● ২০ অক্টোবর ২০২০


আমতলীতে মাছ চুরির বিচার দাবি

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ছরোয়ার ফোরকানের নির্দেশে নারী ভাইস চেয়ারম্যান  মোসাঃ তামান্না আফরোজ মনির নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ পুকুর থেকে মাছ চুরির ঘটনায়  বিচার দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, সাত ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ তিন সদস্য এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আমতলী উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমতলী উপজেলা পরিষদের অভ্যান্তরের পুকুরে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে মাছ চাষ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম ছরোয়ার ফোরকানের নির্দেশে নারী ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনির নেতৃত্বে তার ভাই মতিয়ার রহমানসহ ১০-১২ জন লোক জাল ফেলে ওই পুকুরে মাছ শিকার করে। মাছ চুরির খবর পেয়ে আমতলী থানার এসআই দাদন মিয়া ঘটনাস্থল থেকে নারী ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি ও তার সহযোগী ১০-১২ জন লোক আটক করে। খবর পেয়ে ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান ও আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে ইউএনও আসাদুজ্জামান এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ^াস দিয়ে নারী ভাইস চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগীদের ছেড়ে দেন। এ ঘটনার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও ইউএনও ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবীতে মঙ্গলবার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাত ইউপি চেয়ারম্যান ও তিনজন উপজেলা পরিষদ সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান ও জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাইন বিল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে নারী ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আখতারুজ্জামান বাদল খান, কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মজিবুন্নেছা, উপজেলা পরিষদ সদস্য নাজমুল নাহার বেগম ও নাজমুন্নাহার আক্তার।
উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ তামান্না আফরোজ মনি মাছ চুরির ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ইউএনও আসাদুজ্জামান ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ গোলাম সরোয়ার ফোরকানের সিদ্ধান্ত মতে রাতে জেলে নিয়ে মাছ শিকার করতে গিয়েছিলাম।
উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের সিধান্ত ছাড়াই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম ছরোয়ার ফোরকান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান ব্যাক্তিগত ফায়দা লোটার জন্য পুকুরে রাতে মাছ শিকার করেছেন। এ ঘটনা তদন্তে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, মান সম্মানের তাগিদে উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও তার লোকজনকে পুলিশের কাছ থেকে রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম ছরোয়ার ফোরকান চুরির ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছ শিকারের কথা ইউএনও নিজেও জানেন। উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মতে মাছ শিকার করতে উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেলে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা পরিকল্পিতভাবে পুলিশ এনে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নিয়ে ফয়দা লোটার চেষ্টা করছেন। তিনি আরো বলেন আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করতে তারা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৫:১৯ ● ৩৯৩ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ