দশমিনায় গো-খাদ্যের চরম সংকট

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দশমিনায় গো-খাদ্যের চরম সংকট
বুধবার ● ১৪ অক্টোবর ২০২০


দশমিনায় গো-খাদ্যের চরম সংকট

দশমিনা (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥


পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দেয়াতে গাড়িযোগে নেয়া হচ্ছে একস্থান থেকে অন্যস্থানে গো-খাদ্য। এ সময় কোথায়ও ঘাসের চাষ করা হয় না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন উদ্যোগ নেই। তাছাড়া নেই গো-চারণ ভূমি। ফলে গবাদি পশুর খাদ্য ঘাসের তীর্ব সংকট দেখা যায়। খাদ্য সংকট, অপ্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থা, মানুষের সচেতনতার অভাবসহ বিভিন্ন কারনে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক গবাদি পশু মারা যায়। চরাঞ্চল প্রধান এ উপজেলায় গবাদি পশু পালনে যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সরকারি বেসরকারি ভাবে কেউ এগিয়ে আসছে না। বছরে এই উপজেলা থেকে মানুষের চাহিদার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গরু-মহিষের দুধ উৎপাদন সম্ভব।
উপজেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলে মোট ৪৯হাজার ২৬২টি গরু, ১১ হাজার ৯০০ টি মহিষ, ১৮ হাজার ৪৬২টি ছাগল ও ৯ হাজার ৪৫০টি ভেড়া রয়েছে। রোপা আমন চাষাবাদের পরে কেউ ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখেনা গবাদিপশুর চারণ ভূমি হিসেবে। চারণ ভূমি সংকটের এ সুযোগটিকে কাজে লাগাচ্ছেন বন বিভাগ। একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে গবাদি পশু চারনের সুযোগ দিয়ে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রতি বর্ষা মৌসুমে প্রতিটি বনাঞ্চলে গরু-মহিষে ভরে যায়। এতে বনাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের শিক্ষিত বেকার খামারি মোঃ ফারুক আলম জানান, বর্তমানে খামারের গরু ও ছাগলের খাদ্য তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমের কয়েক মাস খুব কষ্ট কওে পালন করতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাইদ আল সালাউদ্দিন জানায়, রোপা আমন মৌসুমের প্রায় ৩মাস গবাদি পশু প্রাকৃতিকখাদ্যে তীব্র সংকট দেখা দেয়।

এসবি/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৭:২৫ ● ৩৫১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ