কলাপাড়া(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
কলপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনে ১৬ ত্যাগী নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে হাইব্রিডদের অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিবাদে এবং পৌর নির্বাচনের প্রার্থী বছাইয়ের আগে যথযথভাবে কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সোমবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এসংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বঞ্চিত নেতা মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী। তিনি দাবি করেন সম্প্রতি কলাপাড়া পৌর আওয়ামীলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ১৬ জন ত্যাগী নেতাকর্মীকে বাদ দেয়া হয়েছে। আর রাজনৈতিক পরিচয়হীন অসাংগঠনিক লোকজনকে কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। কমিটিতে মোটরসাইকেল চালক থেকে সমাজ বিরোধীদেও অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ করা হয়েছে। যেখানে বিএনপি জামায়াত জোটের লোকজনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আশরাফ হোসেন দাবি করেন, তার নিজের নাম ছাড়াও, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, এমপি আলহাজ মাহবুবুর রহমান, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রাকিবুল আহসানের ছোট ভাই কাওছারুল আহসান, বিএম খালেক খান, নাসির উদ্দিন খালাসী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহসিন পারভেজ, ছত্তার মোল্লা, কামাল মাস্টার, শিশির মজুমদারসহ ১৬ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। সেখানে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধাপক আব্দুস সালাম, থানার সোর্স ফয়সাল, দেলোয়ারসহ অনেককে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আসন্ন পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদেও পছন্দনীয় মাইম্যান হিসেবে পরিচিতদের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার অভিযোগ করা হয়। এ জন্য পৌর কমিটির সভাপতি ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদককে দায়ী করেন বক্তারা। তারা এও বলেন এ কমিটি এখন পর্যন্ত অনুমোদিত হয়নি। তাই নতুন করে কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলামসহ বঞ্চিত সাত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এব্যাপারে কলাপাড়া পৌর কমিটির বর্তমান সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র বিপুল হাওলাদার জানান, এখন পর্যন্ত কমিটি অনুমোদিত হয়নি। এটি বলতে গেলে খসরা কমিটি। এটি পুনর্গঠণ করার সুযোগ রয়েছে। তাঁদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার কিংবা অন্তর্ভূক্তির সুযোগ রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক ও কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম জানান, স্বজনপ্রীতির কোন সুযোগ নেই। কারন আমার কোন ভাইকে কমিটিতে নেয়া হয়নি। আর কমিটি গঠণ করে অনুমোদনের জন্য আওয়ামী লীগের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। বঞ্চিতদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্ত অনুসারে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এখানে ব্যক্তিগত কোন ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি।
এমইউএম/এমআর