কলাপাড়া (পটুয়াখালী)সাগরকন্যা অফিস॥
কলাপাড়া হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় রোগী জবেদা বেগমের (৭০) মৃত্যু এবং মৃত রোগীর সজনদের নামে ডাক্তারের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে শত শত মানুষ মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মৃত রোগীর সজন নেছারউদ্দিন খোকন, মরিয়ম পাখি, ইসরাত জুবায়ের, জিয়াউদ্দিন মিয়া, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া। মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহসিন উদ্দিন হিমন। বক্তারা দাবি করেন বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় অসুস্থ অবস্থায় রোগী জবেদা বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তনিমা পারভিন রুনা দায়সারা গোছের চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে বরিশাল রেফার করেন।
হিমন জানান, তার চাচী জবেদা বেগম শ^াসকষ্টে ছটফট করছিল তখন চাচাতো ভাই-বোনেরা ডাক্তারের যথাযথ সহায়তা পায়নি। তখন সে অপর একজন ডাক্তারের কক্ষে খোশগল্পে মেতেছিল। ডাক্তার বলে দেয় রোগীকে রেফার করা হয়েছে। এনিয়ে তর্কতর্কিসহ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। এক পর্যায়ে উপায় না পেয়ে এ্যাস্বুলেন্সে বরিশাল নেয়ার পথে আমতলী যাওয়ার আগেই আমার চাচী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এরপরে তারা সবাই মিলে মরদেহ দাফন-কাফনে ব্যস্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুনতে পান যে, ডাক্তার তনিমা পারভিন চাচাতো ভাইদের এবং আমিসহ আমাদের কয়েক ভাই এর নামে কলাপাড়া থানায় সরকারি কাজে বাধা দান এবং ডাক্তারকে লাঞ্ছিত ধাওয়া করার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছে।
হিমন আরও জানান, ডাক্তারের নামে আমরা থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ নেয়নি। সেখানে উল্টো তাঁদেরকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলা মিথ্যা, যা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় এবং ডাক্তারের অপসারন দাবি করা হয়েছে। অপরদিকে ডাক্তার তনিমা তার মামলায় উল্লেখ করেছেন, যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী মৃত জবেদা বেগমকে। অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় বরিশাল নিয়ে হৃদ রোগ বিভাগে ভর্তির তাগিদ দেয়া হয়েছে। রোগীকে এম্বুলেন্সে উঠানো হয়। এসময় রোগীর কাছে গেলে আসামিরা তাকে লাঞ্ছিত করে। ধাওয়া করে। চিকিৎসায় কোন ত্রুটি ছিল না বলেও দাবি করেন উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার। বর্তমানে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলাপাড়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, মৃত রোগী জবেদা বেগম সাবেক প্রয়াত এমপি আনোয়ার-উল-ইসলামের ভাই আমিরুল ইসলামের স্ত্রী।
এমইউএম/এমআর