১৫বস্তা চাল জব্দ-দুমকিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » ১৫বস্তা চাল জব্দ-দুমকিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
মঙ্গলবার ● ৬ অক্টোবর ২০২০


দুমকিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

দুমকি(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দুমকিতে বিভিন্ন প্রকল্পের ১৫বস্তা চোরাই চাল উদ্ধারের ঘটনায় মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: জাফর উল্লাহসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (৫ অক্টোবর) রাতে দুমকি থানায় উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রাজীব বিশ্বাস বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় অপর আসামীরা হলো-ইউপি সদস্য মাহফুজুর রহমান খান, ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বাবুল, অফিস পিয়ন মিলন ও ক্রেতা আলমগীর হোসেন মাষ্টার।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কাবিখা, ভিজিডি, বিশেষ ভিজিএফসহ নানা প্রকল্পের চাল পরিমানে কম বিতরণ করে ইউপি চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সহযোগী আসামীরা সরকারী চাল আত্মসাত করে আসছিল। আত্মসাতের উদ্দেশ্যে উদ্বৃত্ত চাল সুবিধাজনক সময়ে গোপনে বিক্রি ও পাচার করে দেয়। গত সোমবার ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে চোরাই চাল দক্ষিণ মুরাদিয়ায় পাচারকালে স্থানীয় জনতা ৫বস্তা সরকারী চালসহ অটোবাইকটি আটক করলে ঘটনা প্রকাশ পায়। খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থল থেকে আটককৃত চাল জব্দ করেন এবং সন্ধ্যায় মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম তল্লাসী করে আরও ১০বস্তাসহ মোট ১৫বস্তা (৪৫০ কেজি) চাল উদ্ধার করে দুমকি থানায় মওজুদ রেখেছেন। চোরাই চাল আটকের পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যানও তার সহযোগীরা গা-ঢাকা দিয়েছে। এ ব্যাপারে সোমবার রাতেই অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দুমকি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১/২০২০।
মামলা বাদি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজীব বিশ্বাস জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের চাল বিক্রির অভিযোগ এর আগেও লোকমুখে শুনেছি। এবার হাতে নাতে আটক হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে।  অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো: জাফর উল্লাহ, ইউপি সদস্য মাহফুজুর রহমান, ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বাবুলসহ মামলার অন্যান্য আসামীদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এর আগেও মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডি, ভিজিএফ’র চাল সুবিধাভোগীদের পরিমানে কম দিয়ে গোপনে বিক্রির অভিযোগ আছে। দক্ষিণ মুরাদিয়ার বাসিন্দা মো: জুলহাস খান অভিযোগ করে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও কতিপয় সদস্য তাদের একান্ত বিশ^স্ত কর্মচারী মিলনের মাধ্যমে গোপনে বিভিন্ন লোকের কাছে আত্মসাৎকৃত সরকারি চাল বিক্রি করতো এবং সুবিধাজনক সময়ে পরিষদের গুদাম থেকে ওইসব চাল প্রকাশ্যেই অটোবাইকে পাচার করেছে। দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মেহেদী হাসান মামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) আল-ইমরান, ১৫বস্তা সরকারী চাল উদ্ধার ও জব্দের সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৭:০৬ ● ৩১৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ