ভূমি সেবাগ্রহীতাদের জন্য অভিযোগ কেন্দ্র ও ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন: ভূমিমন্ত্রী

প্রথম পাতা » জাতীয় » ভূমি সেবাগ্রহীতাদের জন্য অভিযোগ কেন্দ্র ও ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন: ভূমিমন্ত্রী
রবিবার ● ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


সচিবালয়ে ই-মিউটেশন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা সাগরকন্যা অফিস॥

চলতি বছরের জুনের মধ্যেই দেশব্যাপী ই-মিউটেশন কার্যক্রম পুরোদমে চালু হবে বলে জানিয়েছেন ভূমীমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। একই সঙ্গে ভূমি সেবাগ্রহীতাদের জন্য অভিযোগ কেন্দ্র (হটলাইন) এবং সরকারের সঙ্গে ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন লেনদেনের জন্য ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালুর জন্য একটি পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপন করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান মন্ত্রী।
রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে খুলনা বিভাগের ৭টি (খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, সাতক্ষীরা, নড়াইল এবং বাগেরহাট) জেলায় অনুষ্ঠিতব্য চার দিনব্যাপী ই-মিউটেশন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী তাকে ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার পর তিনি ৯০ দিনের প্রাথমিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া তার মেয়াদের প্রথম দেড় বছর ‘স্বল্প মেয়াদী’, পরবর্তী দেড় বছর ‘মধ্যম মেয়াদী’ এবং শেষ দুই বছরকে ‘দীর্ঘ মেয়াদী’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পুরো পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনার ‘ডেডলাইন’ সাজিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই সম্যক ধারণা বেশ কম। যদিও সবার জীবন এবং পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি জড়িত। ভূমি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে স্কাউট সদস্য এবং স্থানীয় তরুণদের সম্পৃক্ত করে দেশব্যাপী শিগগিরই ভূমি সপ্তাহ এবং ভূমি উন্নয়ন মেলা পালন করা হবে। এটুআই এবং ভূমি সংস্কার বোর্ডের সহায়তায় ই-নামজারি কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। ওই কোর্সে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কানুনগো, সার্ভেয়ার, নামজারি সহকারীসহ মাঠ পর্যায়ে ভূমি সেবাদানরত সরকারি কর্মচারীদের ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ‘ই-নামজারি’ অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত ‘জমি’ নামক জাতীয় ভূমি-তথ্য ও সেবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের (www.land.gov.bd) একটি অংশ। ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রী জেলাগুলোর বিভিন্ন সমস্যার কথাও জানতে চান। তিনি বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সবার উচিত যার যে দায়িত্ব সেখানে সর্বোচ্চ ঢেলে দেওয়া। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করলে সমস্যা আর থাকবে না।
এসিল্যান্ডদের দাপ্তরিক কাজের সুবিধার্থে গাড়ি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নতুন জনবল নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত পাশের উপজেলায় ভাগাভাগি করে দায়িত্ব পালন করাটা আগের চেয়ে অনেক সহজ হওয়ার কথা। বিভিন্ন পর্যায়ের জনবলের অভাব পূরণে চলমান পদক্ষেপগুলোর কথাও তিনি জানান।

এফএন/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২২:১১:৩৪ ● ৪৪০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ