থামছে না পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম-কলাপাড়ার ৩০ হাজার আবাসিক গ্রাহক চরম বিপাকে
প্রথম পাতা »
পটুয়াখালী »
থামছে না পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম-কলাপাড়ার ৩০ হাজার আবাসিক গ্রাহক চরম বিপাকে
রবিবার ● ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
টানা তিন মাসের বিদ্যুত বিলের অনিয়মের শিকারে পরিণত হয়ে গ্রাহকের চিড়েচ্যাপটা অবস্থা। করোনাকালেও অসহায় গ্রাহকরা কোন প্রতিকারও পায়নি। তাই এ মাসের নয় তারিখে এক গ্রাহক কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের কাছে এসএমএস করে রিডিং দিয়েছিলেন, যার নম্বর ১৫৫৩১। গেল মাসের (আগস্ট) নয় তারিখে তাকে বিল দেয়ার রিডিং ছিল ১৫২৪৫। মূল বিলের টাকা হওয়ার কথা ১৬৪৫ টাকা। ২৮৬ ইউনিট। কিন্তু আগাম রিডিং পৌছে দিয়েও বাড়তি বিলের বোঝা থেকে এ গ্রাহকের শেষ রক্ষা হয়নি। তার মিটারে নয় তারিখে ১৫৫৩১ থাকলেও সেপ্টেম্বর মাসের বিলে নয় তারিখে রিডিং দেখানো হয়েছে ১৫৬২০। ৮৯ ইউনিট বেশি। বিলে মূল টাকা বেশি দেখানো হয়েছে ৪৬০ টাকা। যেখানে এই গ্রাহকের তিন ধাপে বিল হওয়ার কথা। সেখানে চারটি ধাপের বাড়তি বিল চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুত সমিতির এহেন অনিয়ম আর খামখেয়ালিপনা এখন সকল শ্রেণির গ্রাহকের ব্ইতে না পারার বোঝা হয়ে গেছে। তার তাঁদের এমন চাপিয়ে দেয়া বাড়তি বিলের ধকল সইতে না পেরে গ্রাহকের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। করোনার কারনে মানুষের জীবন-জীবিকার পথ এবড়ো-থেবড়ো হয়ে গেছে। সেখানে সহনীয় রাখতে গ্রাহকদের সেবা দেয়ার কথা, কিন্তু পল্লী বিদ্যুত সমিতি করছে অমানবিক আচরণ। এভাবে এ মাসেও ২৯ হাজার ৬০০ গ্রাহকের কাছ থেকে গড়ে কমপক্ষে ২৫০-৩০০ টাকা করে বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে। তাতে অন্তত ৮৮ লাখ টাকার বিল আগেই বেশি দেয়া হয়েছে। এসব মিটার রিডার এমন কৌশলে বিল পৌছে দিচ্ছে। যেমন রিডিং ইস্যুর তারিখ নয় তারিখে দেখানো। বিল পৌছানো হয়েছে ২৬ তারিখে। আবার পরিশোধের শেষ তারিখ পহেলা অক্টোবর। গ্রাহকদের কোন কিছু বুঝতে না দেয়ার যত কূটকৌশল রয়েছে তা কার্যকর করা হয়েছে। আর পল্লী বিদ্যুত সমিতির এমন দুর্ণীতি আর অনিয়মের শিকার হওয়া গ্রাহকরা সরকারকে দূষছে। কারণ জড়িতদের কেউ কন্ট্রোল কিংবা ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এভাবে পল্লী বিদ্যুত সমিতির যাদুকরি অনিয়ম থেকে রেহাই পেতে এখন রিডিং ৩০ দিনের দিন গ্রাহকরা নিজেরা ক্যামেরা বন্দী করে রাখছেন। কিন্তু তাতেও প্রতিকার মিলছে না। আর এর খেসারত গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের, বদনাম উঠছে সরকারের মাথায়।
নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়ার আহ্বায়ক কমরেড নাসির তালুকদার বলেন, অধিকাংশ গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ইউনিটের বিল দেয়া হয়েছে। এছাড়া পরিশোধের মাত্র চারদিন আগে গ্রাহককে বিল দেয়া হচ্ছে। এসব দুর্নীতি অনিয়ম রোধে গ্রাহকরা এখন ফুসে উঠেছে।
এমইউএম/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৮:৪৫ ●
৫৭৩ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)