আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের দুই একর জমির রোপা আমন ধানের চারা উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ইউপি সদস্য মাসুদ মৃধার নেতৃত্বে শতাধিক দুর্বৃত্তরা শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জমির মালিক আজাহার মোল্লা।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান এস আই সোহেল রানা।
জানাগেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের আশু সরদার ৭ একর ২৩ শতাংশ জমি রেখে মারা যান। ওই জমির মালিক হন তার কন্যা জয়ফুল বিবি। এ জমি ভুয়া দলিল মুলে নবিনেওয়াজ খানের ওয়ারিশ আনসার খান দাবী করে জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে। এ ঘটনায় ২০০৭ সালে জয়ফুল বিবি বাদী হয়ে আমতলী সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ১৩ বছর পরে ওই মামলায় এ বছর জয়ফুল বিবির পক্ষে রায় হয়। আদালতের নির্দেশানুসারে ওই জমি জয়ফুল বিবির ওয়ারিশ আজাহার মোল্লা ভোগদখলে নেন। এ বছর ওই জমি জয়ফুল বিবির ওয়ারিশগণ চাষাবাদ করে আমন চারা রোপন করেন। শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মাসুদ মৃধার নেতৃত্বে বারেক খান, খালেক খান, মাহতাব খান, মাহবুব মৃধা, জব্বার মৃধা ও হারুন বিশ্বাসসহ শতাধিক দুর্বৃত্তরা ওই জমির রোপনকৃত চারা উপড়ে ফেলে এমন অভিযোগ করেন আজাহার মোল্লা। খবর পেয়ে শনিবার সকালে আমতলী থানার এসআই মোঃ সোহেল রানা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। এ ঘটনায় আমতলী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় মজিবর মোল্লা, রফিক গাজী ও রেবেকা বেগম বলেন, রাতের আধারে ইউপি সদস্য মাসুম মৃধার নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসীরা আমন ধানের চারা উপড়ে ফেলেছে।
আজাহার মোল্লা বলেন, আদালতের রায় পেয়ে জমি চাষাবাদ শেষে আমন ধানের চারা রোপন করেছি। ওই জমির চারা ইউপি সদস্য মাসুদ মৃধা, বারেক খান, খালেক খান, মাহতাব খান, মাহবুব মৃধা, জব্বার মৃধা ও হারুন বিশ্বাসসহ শতাধিক সন্ত্রাসী রাতের আধারে চারা উপড়ে ফেলেছে। তিনি আরো বলেন, ইউপি সদস্য মাসুদ মৃধা আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মাসুদ মৃধা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই খানে আমার কোন জমি নেই। তবে আমার বড় ভাইর জমি আছে।
আমতলী থানার এস আই সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে ওসির নির্দেশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচকে/এমআর