কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকাভূক্তির দাবি

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকাভূক্তির দাবি
শনিবার ● ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০


কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকাভূক্তির দাবি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের পাঁচশতাধিক ঘড়বাড়ি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ভূমি অধিগ্রহন করেন। কিন্ত ক্ষতিগ্রস্থ ২৭ টি পরিবারের বসতঘর তালিকাভূক্ত না করার দাবিতে ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মানববন্ধন করেছেন। উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চরচান্দুপাড়ার বুড়োজালিয়া জেলে পল্লী এলাকায় ভূক্তভোগী জনগন এ মানববন্ধন করেন। ২৭ টি পরিবারের বসতঘরে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত এস.বি নাম্বার থাকা সত্ত্বেও পটুয়াখালী এল.ও অফিসের কতিপয় অসাধূ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবৈধ সুযোগসুবিধা দিতে না পারায় তাদের বসতঘর তালিকার আওতায় নেয়া হচ্ছে না বলে ভূক্তভোগীরা মানববন্ধনে দাবি করেন।

জানা যায়, কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের পাঁচশতাধিক ঘড়বাড়ি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেয়। ২০১৪ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ঘর যাচাই-বাচাই সাপেক্ষে তালিকাভূক্তি করণের জন্য এস.বি নাম্বার দেয়। এস.বি নাম্বার অনুযায়ী অন্যান্য ঘর তালিকাভূক্ত করা হলেও স্থানীয় ২৭ টি পরিবারের ঘর তালিকার আওতায় নেয়া হয়নি। ওই ২৭ টি ঘরের প্রতিটিতে পায়রা বন্দর কর্তৃক এস.বি নাম্বার থাকা সত্ত্বেও অবৈধ অর্থ দিতে না পারায় তাদের ঘরগুলো তালিকায় অর্ন্তভূক্তি করা হয়নি বলে ভূক্তভোগীরা মানববন্ধনে অভিযোগ তুলেন। তাদের মতে, প্রতিটি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হিসাবে তালিকাভূক্তি করার জন্য পটুয়াখালী এল.ও অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবৈধ অর্থ দিয়ে ঘর তালিভূক্ত করতে হয় বলে বক্তারা জানান।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য মো. মহসীন দালাল ও সোহেল প্যাদা জানান, আমাদের প্রতিটি ঘরে এস.বি নাম¦ার রয়েছে। ২০১৪ সালে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রতিটি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার হিসাবে তালিকাভূক্ত করে এস.বি নাম্বার দেয়। কিন্তু আমরা এল.ও অফিসের কর্মকর্তাদের অর্থ দিয়ে খুশি করতে না পারায় আমাদের ঘরগুলো তালিকার বাহিরে রেখে দেয়।বহিরাগতদের মধ্যে বালিয়াতলী ইউনিয়নের বৈদ্যপাড়া গ্রামের মমিন তালুকদারের পুত্র আবদুল অহেদ তালুকদার যার ভোটার নাম্বার ৭৮১১৪০০০০১৫৪ ক্রমিক নং ০২২। মুন্সিপাড়া গ্রামের কদম আলী বিশ্বাসের পুত্র লাবু বিশ্বাসসহ ২০ পরিবার নাম অন্তভর্’ক্ত করেছেন। আমরা এর সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আমাদের ঘরগুলো তালিকাভূক্তির আওতায় নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামান করছি।

ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারন সম্পাদক শাহীন তালুকদার ও উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাফর আলী হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, পটুয়াখালী এল.ও অফিসের অসাধূ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে নতুন ঘর তালিকাভূক্ত হলেও ৩০ বছর পূর্বের ঘর তালিকাভূক্তি হয়নি। এমনকি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিটি ঘরের এস.বি নাম্বার থাকা সত্ত্বেও ২৭ টি পরিবার তালিকার বাহিরে রয়ে যায়।

এসকেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩০:৩৯ ● ৫২৪ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ