আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
নিপীড়িত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে কালো টাকায় মাদক ও হত্যা মামলার আসামীদের উপজেলা ও কলেজ ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ এনে সদ্য ঘোষিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হোসেনসহ ১১ জন নেতা ব্যাক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে দলীয় স্ব-স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বরগুনার তালতলী সাংবাদিক ফোরামে এক সংবাদ সম্মেলনে ১১ জন ছাত্রদল নেতা পদত্যাগের ঘোষনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসছি। দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হামলা-মামলা জেল-জুলুম ও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছি। দলের এই দুর্দিনে রাজপথে থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে কাজ করছি। কিন্তু ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বরিশাল বিভাগীয় টিম ও স্থানীয় কিছু স্বার্থলোভীরা টাকার বিনিময়ে ছাত্রদলের নির্যাতিত নিপীড়িত ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে মাদক ও হত্যা মামলার আসামী এবং অছাত্রদের ছাত্রদলের ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেন কেন্দ্রীয় সংসদ। এ ছাত্রদল কমিটি ঘোষনার পরপরই তালতলীতে হইচই পড়ে যায়। মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তোলে। এতে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তারা আরও বলেন, তালতলী উপজেলা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক হাওলাদার মোঃ নাসির উদ্দিন উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালিন অবস্থায় ইউনিয়ন কমিটি দেয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। যার অনেক প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আর বর্তমান কমিটির জহিরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে তিনি এক যুবদল নেতার হত্যা মামলার আসামী ও স্থানীয় ছাত্র রাজনীতিতে অপরিচিত। যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান তিনি ৫০ পিস ইয়াবাসহ পটুয়াখালী বসে পুলিশেরে হাতে আটক হয়। এছাড়াও অধিকাংশ সদস্য আছে যাদের দলীয় কর্মসূচি পালন করতে দেখিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে তারা আরও বলেন, পরিকল্পতিত ভাবে সিনিয়রদের অপমানিত করে জুনিয়দের নামের নিছে তাদের নাম দেওয়া হয়েছে। যা অত্যান্ত অপমানজনক। এই সমালোচিত কমিটি থেকে উপজেলা ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ফারুক হোসন, যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল মিয়া,সদস্য শামীম বেপারী, সজিব খান,কাওছার আলম এবং কলেজ ছাত্র দলের যুগ্ম আহবায়ক রাসেল মীর, সদস্য জাকারিয়া ও মো.রাকিবুলসহ ১১ ছাত্র নেতা ব্যক্তিগত কারন দেখিয়ে দলীয় স্ব-স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পাশাপাশি এই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি দেওয়ার দাবি করেন তারা। তা না হলে আরো অনেক ছাত্র নেতা দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করবে বলে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন তারা। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ রেজা পদত্যাগের ঘোষনা দেন।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম রনি বলেন, অর্থের বিনিময়ে তালতলীকে কমিটি দেয়া হয়নি। যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা একটা সুন্দর কমিটি গঠন করেছি। এটি অনেকের পছন্দ হয়নি। এ সব অভিযোগ তারই বহিঃপ্রকাশ।
এমএইচকে/এমআর