আমতলীতে চাল চুরির প্রতিবাদে জেলেদের বিক্ষোভ

প্রথম পাতা » বরগুনা » আমতলীতে চাল চুরির প্রতিবাদে জেলেদের বিক্ষোভ
মঙ্গলবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০


আমতলীতে চাল চুরির প্রতিবাদে জেলেদের বিক্ষোভ

আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ’র চাল ওজনে কম দিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মজিবুন্নেছা ও ইউপি সদস্যারা চুরি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে উপকারভোগী জেলেরা বিক্ষোভ করেছে। ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে।
জানাগেছে, উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সমুদ্রে ৬৫ দিন মৎস্য আহরণে বিরত থাকা ১৩’শ ৪৮ জন জেলেদের মানবিক সহায়তার বিশেষ ভিজিএফ’র জুলাই মাসের দ্বিতীয় কিস্তির চাল মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে বিতরন করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোসাঃ মুজিবুন্নেছা। বিতরণের শুরুতেই চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে জেলেদের ওজনে কম দিয়ে চাল চুরি করছিল। প্রত্যেক জেলে ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে দেয়া হয়েছে ২৫-২৬ কেজি। মঙ্গলবার ৮’শ ৮৬ জন জেলেদের মাঝে ওজনে কম দিয়ে চাল বিতরণ করা হয়।
জেলেদের অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোসাঃ মজিবুন্নেছা, ইউপি সচিব মোঃ ইমরান হোসেন ও ইউপি সদস্যদের যোগসাজসে জেলেদের ওজনে চাল কম দিয়ে চুরি করছে। মিটারে পরিমাপ করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও বালতি দিয়ে মেপে চাল বিতরণ করেছেন। ওজনে চাল কম দিয়ে চুরির প্রতিবাদে উপকারভোগী অন্তত পাঁচ শতাধিক জেলে বিক্ষোভ করেছে। জেলেদের বিক্ষোভের কারনে ঘন্টাব্যপী চাল বিতরন বন্ধ থাকে।
জেলে আবু হোসেন, আবু সিদ্দিক,  আজিজ গাজী ও শানু চৌকিদার বলেন, ওজনে কম দিয়ে চাল চুরি করছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা। ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও দিয়েছে মাত্র ২৬ কেজি।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ৬টি ওয়ার্ডের জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবের লোকজন মিটারের পরিবর্তে বালতি দিয়ে চাল মেপে জেলেদের দিচ্ছেন। বালতি দিয়ে মাপা চাল মিটারে ওজন করে দেখাগেছে ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৫-২৬ কেজি হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মজিবুন্নেছা, ইউপি সচিব মোঃ ইমরান হোসেন ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সচিব মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে যারা চাল মেপেছে তারা কিছু চাল কম দিয়েছে। এতে কিছু ঝামেলা হয়েছে।
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোসাঃ মুজিবুন্নেছা ওজনে চাল কম দিয়ে চুরির কথা অস্বীকার করে বলেন, বালতি দিয়ে চাল দেওয়ার কিছু হেরফের হতে পারে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, চালের বস্তা না ভেঙ্গে জেলেদের মাঝে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছি। যাদের চাল কম দেয়া হয়েছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে তাদের চাল সমস্বয় করে দিতে বলেছি।

এমএইচকে/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৯:১৯ ● ৫৪৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ