কুয়াকাটায় হোটেলের ময়লা বর্জে নষ্ট হচ্ছে সৌন্দর্য!

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » কুয়াকাটায় হোটেলের ময়লা বর্জে নষ্ট হচ্ছে সৌন্দর্য!
সোমবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০


কুয়াকাটায় হোটেলের ময়লা বর্জে নষ্ট হচ্ছে সৌন্দর্য!

কুয়াকাটা সাগরকন্যা অফিস॥

 পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটার সূর্যদয় ও সূর্যাস্তের সৌন্দর্য দেখার বেলাভূমি খ্যাত কুয়াকাটায় এখন খাবার হোটেলের ময়লার স্তুপে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রতিটি খাবার হোটেলের ময়লা যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। ফলে বাতাসে দুর্ঘন্ধ ও বিভিন্ন ধরনের রোগবাহী জীবানু ছড়ানোর আশংঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এতে হোটেলের খাবার সহ পরিবেশে নষ্ট হওয়ার আশংঙ্কাও রয়েছে। পৌরসভার ময়লার গাড়ী নিয়মিত না আসায় যত্রতত্র ময়লা ফালানোর কথা স্বীকার করলেন হোটেল মালিকরা। দায়ভার নিতে রাজি নয় স্থানীয় পৌরসভা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটার চৌরাস্তা হতে সী-বিচে যাওয়ার পশ্চিম পাশে একাধিক খাবার হোটেল রয়েছে। এসকল খাবার হোটেলগুলোর খাবারের উচ্ছিষ্ট ও ময়লা তাদের নিজ নিজ হোটেলের পিছনে বীচের উপরে ফালানো হচ্ছে। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লার স্তুপ হতে দূর্ঘন্ধ বীচের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে বাতাসের সাথে উড়ে বেড়ানো জীবানু দ্বারা খুব সহজেই আক্রান্ত হচ্ছে পর্যটকসহ স্থানীয় সাধারন মানুষ। স্তুপের ময়লা হতে উড়ে আসা মাছি ও অন্যান্য জীবানু হোটেলের খাবারে বসে খাবারের মান নষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি করছে। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছে দুর-দুরান্ত হতে ঘুরতে আসা পর্যটক ও স্থানীয় সাধারন মানুষ। জানা যায়, রাস্তার পশ্চিম পাশে অবস্থিত হোটেল মা-বাবার দোয়া, মায়ের দোয়া, পটুয়াখালী হোটেল, হোটেল বামনা, হোটেল মায়ের দোয়া-২, হোটেল বৈশাখী, হোটেল নিউ বৈশাখী ও খাবার ঘড় নামক একাধিক খাবার হোটেল রয়েছে। এসকল হোটেলের সকল ধরনের ময়লা ও খাবার উচ্ছিষ্ট তাদের পিছনের ফাঁকা স্থানে খোলা জায়গায় ফালানো হয়। ফলে এসকল ময়লার দূর্ঘন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছে ঘুরতে আসা পর্যটকসহ স্থানীয়রা। বামনা হোটেলের স্বত্তাধিকারী মো. স্বপন হাওলাদার বলেন, হোটেলের ময়লা ফালানোর জন্য পৌরসভা হতে নির্দিষ্ট কোন জায়গা দেয়া হয়নি। তদুপরি, আগে পৌরসভার গাড়ী এসে ময়লা নিলেও করোনা পরিস্থিতির পর হতে নিয়মিত গাড়ি আসছে না। তাই বাধ্য হয়েই আমাদের এখানে ময়লা ফালাতে হচ্ছে।

কুয়াকাটা খাবার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি ও খাবার ঘড় হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সেলিম মুন্সি বলেন, আগে নিয়মিত পৌরসভার ময়লার গাড়ী এসে হোটেলের ময়লা নিয়ে যেতো। করোনা পরিস্থিতির পর হতে ময়লার ছোট গাড়ী আসলেও বড় গাড়ী আসে না। ছোট গাড়ীতে হোটেলের উচ্ছিষ্ট ময়লা নিতে চায় না। তাছাড়া, ময়লা ফালানোর জন্য পৌরসভা হতে নির্দিষ্ট কোন জায়াগাও দেয়া হয়নি। তাই একান্ত বাধ্য হয়েই হোটেলের পিছনে ময়লা ফালাতে হচ্ছে। কুয়াকাটা পৌরসভার তরফ হতে ময়লার গাড়ী নিয়মিত করার আবেদন রাখেন তিনি।

এবিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. বারেক মোল্লা বলেন, ময়লার গাড়ী নিয়মিত যাচ্ছে। তারপরেও কোন অনিয়ম হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসকেআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৭:০০:৩৩ ● ৩৩৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ