জোড়া খুনের জের-বাউফলে হয়রানির শিকার হচ্ছে সংখ্যলঘু পরিবারের সদস্যরা

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » জোড়া খুনের জের-বাউফলে হয়রানির শিকার হচ্ছে সংখ্যলঘু পরিবারের সদস্যরা
বৃহস্পতিবার ● ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০


বাউফলে হয়রানির শিকার হচ্ছে সংখ্যলঘু পরিবারের সদস্যরা

বাউফল(পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রকিব উদ্দিন রুমন ও যুবলীগ কর্মী
ইশাদ তালুকদারের খুনের জেরে লুটপাট চুরি আর চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন তালুকদারের সমর্থক সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা। মামলার আসামী না হয়েও হামলা ও নির্যাতনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অনেক পরিবারের সদস্যরা।
খুনের ঘটনার পরে কেশবপুর গ্রামের মহিউদ্দিন লাভলুর সমর্থক তপন দাসের বাড়ি থেকে রাতের আধারে ২টি গরু নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন। এছাড়াও  রাসমোহন দাসের ২টি, শহিদ আকনের ১টি গরু নিয়ে যায় ওই একই গ্রুপ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, হিন্দু ধর্মালম্বী এক নারী জানান, খুনের ঘটনার পরে তাদের পরিবারকে একাধিক বার এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। এলাকায় থাকতে হলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করা হয়েছে বলে জানান ওই নারী। একই এলাকার লাল মোহন দাস আর নির্মল দাসের কাছে ৫০হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে ওই মহলটি। নির্ধাতির টাকা দিতে না পারায় ওই দুই পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন এলাকা ছাড়া।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, কেশবপুর বাজার, ভরিপাশা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে মহিউদ্দিন লাভলুর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ব্যবাসায়ীদের প্রায় ৩০টির মতো দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে এসব ঘটনার নেতৃত্বে রয়েছেন যুবলীগ নেতা জহিরুল হক, মো. আসাদুল হক জুয়েল, এনামুল হক রানা, মো. রবিন ও সঞ্জয়।
এসব বিষয়ে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমার ছোট দুই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ খুনিদের বিচারের দাবীতে ক্ষুব্দ রয়েছে। এখন এই জোড়া খুনের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এসব বানোয়াট কথা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।


এসএস/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৭:৩৮ ● ৬৬১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ