গোপালগঞ্জ সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্টার ও সরকারী বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি নজরুল ইসলাম হীরাকে অব্যহতি দেওয়া এবং তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধম ফেসবুকে অপপ্রচার করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে গোপালগঞ্জ সরকারী বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি, জিএস ও এজিএস সহ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের সদস্যবৃন্দ।
বুধবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় গোপালগঞ্জ সরকারী বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হলরুমে সংবাদ সংম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক ভিপি মোঃ আতিকুর রহমান পিটু সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সরকারী বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি এসএম মাহমুদ, গাজী সিহাব উদ্দিন, মোঃ আলিমুজ্জামান আলিম, মোঃ আব্দুল্লাহ আসিক জামান (উপল), মোঃ নজরুল ইসলাম হীরা ও মোঃ শরিফুল ইসলাম। সাবেক জিএস মোঃ মিজানুর রহমান মিজান, শেখ ইব্রাহিম খলিল, আল হোসাইন মামুন, নিহার কান্তি বিশ্বাস ও এসএম মারুফ রাসেল উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালন করেন সাবেক এজিএস আল হোসাইন মামুন।
এ সময় সাবেক ভিপি মোঃ আতিকুর রহমান পিটু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্টার ও সরকারী বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিসি নজরুল ইসলাম হীরাকে অব্যহতি দেওয়া ও তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধম ফেসবুকে অপপ্রচার করার প্রতিবাদে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিব্র নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, যারা উক্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার চুরির প্রকৃত মদদদাতা এবং বিষয়টিতে ধামাচাপা দিতে তৎপর তাদের এহেন কাজের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে চুরির ঘটনায় গঠিত সাত (৭) সদস্য তদন্ত কমিটির একজন হওয়া সত্বেও কেন নজরুল ইসলাম হীরাকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে সে প্রশ্নের যুক্তি সংগত উত্তর আমরা সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের কাছে আশা করছি।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে নজরুল ইসলাম হীরা বলেন, কম্পিউটার চোর ধরার ক্ষেত্রে আমি সবচেয়ে সক্রিয় থাকায় এবং পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার পরও আমাকে তদন্ত কমিটি থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। পুলিশ আমার কাছে চোর ধরার জন্য সহযোগীতা চাইলে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) কে মৌখিকভাবে বললে তিনি আমাকে মৌখিক অনুমতি দেয় এবং আমি চোর ধরার জন্য পুলিশকে সহযোগীতা করি।
তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক থানার একটি জিডি করেছে আমি তার চ্যানেন্স করেছি বিন্দুমাত্র প্রমান করতে পারবে না।
এইচবি/এমআর