কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক মিঠাগঞ্জ মৌজার ২১ একর ৮৩ শতাংশ জমি খরিদ সূত্রে ভোগদখল করে আসছে। জমি দখলে নেয়ার কারনে ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মো. জিয়াউর রহমান সিকদার ও গোলাম সরয়ার। বুধবার (২৬ আগস্ট) সকালে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাবের হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. জিয়াউর রহমান সিকদার। তিনি বলেন, তার পূর্ব পুরুষগণ ১১ জুলাই ৫১ সালে কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক মিঠাগঞ্জ মৌজা ২১ একর ৮৩ শতাংশ জমি খরিদ করে ভোগবান আছেন। খরিদদারের মৃত্যুতে উক্ত জমি তাদের ওয়ারিশদের নামে শুদ্ধভাবে রেকর্ড হয়। আমরা উক্ত জমির প্রচলিত আইন অনুসারে সকল খাজনাদি পরিশোধ ও ভোগ দখল করে আসছি। হঠাৎ করে আমাদের পূর্ব পুরষদের খরিদ করা জমিতে ৩০ মে ২০২০ তারিখে মো. মাসুম বেপারী, হেনা আক্তার, মো. আসলাম হাওলাদার, মো. রুবেল সিকদার, মো.দুলাল খান, মো.রুবেল কাজী, মো. বশির খান, মো. ফয়সাল, মো.ফোরকান মৃধা, মো. করিম গাজী,মো. আউয়াল, মো. মালেক গাজী নামে একটি সাইন বোর্ড সাটিয়ে দেয়া হয়। এব্যাপারে আমরা তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা আমাদেরকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তিনি বলেন, এব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, ভূমি সচিব, মহা পুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কলাপাড়া ও অফিসার ইনচার্জ কলাপাড়া থানাকে লিখিতভাবে অবগত করানো সহ ২ জুন ২০২০ তারিখে কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে। ডাইরি নং ৫৮।
তিনি আরো বলেন, বর্ণিত ভূমির বর্তমান মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লোভের বশবর্তী হইয়া তারা আমাদের ভোগ দখলিয় ভূমি দখলের পায়তারায় লিপ্ত থাকিয়া পার্বত্য চট্রগ্রাম বান্দরবনে বসবাসরত মারমা সম্প্রদায়ের কথিত সাইমা চিং কে ওয়ারিশ দার করে ভোগদখলীয় ভূমির ভূয়া পাওয়ার অব এ্যাটোর্নী সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তাকে ঐ জমি অন্যত্র বিক্রির অনুমতি না দেয়ার জন্য জানানো হলেও অদৃশ্য কারনে ঐ জমি বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কলাপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা, সাব রেজিস্টার কলাপাড়া, পটুয়াখালী এদের বিরুদ্ধে মোকাম কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জজ আদালত, দেং মং নং- ২৭২/২০২০ (নিষেধাজ্ঞা) অভিযোগ ২৫.০৮.২০২০ তারিখে গৃহীত হয়। আমাদের সম্পত্তি ফিরে পাবার জন্য উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসকেআর/এমআর