মহিপুরে নির্মাণের বছর না যেতেই বেড়িবাধে ধ্বস

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » মহিপুরে নির্মাণের বছর না যেতেই বেড়িবাধে ধ্বস
সোমবার ● ২৪ আগস্ট ২০২০


মহিপুরে নির্মাণের বছর না যেতেই বেড়িবাধে ধ্বস

মহিপুর (কলাপাড়া) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর মহিপুরে নির্মাণ  কাজ শেষ হওয়ার এক বছর যেতে না যেতেই ভাংগতে শুরু করেছে পটুয়াখালীর  নিজামপুর  সুধীরপুর, কমরপুরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ। ফলে এক যুগের পানিবন্দিদশা থেকে এলাকাবাসী মুক্তি পেলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে শংকা। আর এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত প্রকল্প প্রণয়নসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিন্মমানের কাজকে দায়ী করেছেন এলাকাবাসী।
২০০৭ সালে ঘুর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে ভেংগে যায়  বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এরপর কয়েক দফা পুনঃনির্মাণ কাজ করা হলেও তা টেকসই না হওয়ায় ফি বছরই ভেংগে যায়। এতে বছরের প্রায় ছয় মাস দু’দফা জোয়ারের পানিতে বন্দি হয়ে পড়ে সাগর মোহনার চারটি গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ। নদীতে বিলীন হয়ে যায় শত শত একর ফসলি জমি, বসত ভিটা। আনাবাদী থাকে ফসলি জমি। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪৭/১ পোল্ডারে ২ কোটি ৮৭লক্ষ টাকা ব্যয়ে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৮শ’ ৮৫ মিটার বাঁধের নির্মাণ কাজ জুন ২০২০ সালে  সম্পন্ন করে। যেখানে ৫প্যাকেজে ৪টি ঠিকাদার প্রতিঠান কাজ শুরু করে। তখন স্থানীয়দের কাজের ক্ষেত্রে অনিয়ম চোখে পড়ায় তারা কাজের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলেন, বাঁধ নির্মাণে জিও ব্যাগের ভেতরে থাকা বালু ও সিমেন্ট ১মাসে একত্রিত হয়ে জমাট বেধে যাবে। কিন্তু ৩০ জুন ২০২০ এ কাজ শেষ হলেও এখনো পর্যন্ত তা জমাট বাধেনি কারন ব্যাগের ভিতরে বালুর থেকে সিমেন্টের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। মানহীন কাজের কারণে বছর যেতে না যেতেই বিলিন হতে বসেছে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে বেরিবাঁধের  নিজামপুর ও সুধীরপুরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ  আংশ। স্থানীয় হানিফ চৌকিদার জানান কাজের সময় আমরা অনিয়মের প্রতিবাদ জানাই কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি। নুরজামাল হাওলাদার জানান কাজ শেষ হইছে ৩মাস হয়ে গেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্যাগের ভেতরে বালু জমাট বাধেনি যার খেসারত আমাদের গ্রামবাসীদের দিতে হচ্ছে। সালাউদ্দীন রাড়ী জানান,  প্রতি বছরে সরকারি ভাবে বেরিবাধ নির্মাণ করার জন্য মোটা অংকের বরাদ্দ আসে নামমাত্র কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তা ভাগাভাগি করে খায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মুসফিকুর রহমান  শুভ বলেন, আমাদের জানামতে কাজের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হয়নি। তবে আম্ফান বন্যার কারণে কাজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা আমরা পূনরায় নির্মাণ করে দিয়েছি।


এমই/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:১৯:৫৪ ● ৩৬০ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ