ছাত্রলীগ সভাপতির মুক্তি দাবি কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

প্রথম পাতা » কুয়াকাটা » ছাত্রলীগ সভাপতির মুক্তি দাবি কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
শনিবার ● ২২ আগস্ট ২০২০


ছাত্রলীগ সভাপতির মুক্তি দাবিতে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনের একাংশ।

কুয়াকাটা সাগরকন্যা অফিস॥
কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মজিবর রহমানকে মহিপুর থানা পুলিশ উদ্দেশ্যমূলক আটক করে মামলায় ফাঁসিছে দাবি করে পৌর ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেছে। শনিবার সকাল ১০টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ছাত্রলীগের উদ্যোগে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাইফুর রহমান হাসান বলেন, গত ১৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল কিংস এর সামনে কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে তুচ্ছ একটি ঘটনায় পুলিশের কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান যান। পুলিশের কাছে তার পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে লাঞ্ছিতের পাশাপাশি আটক করে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলায় পুলিশের কাজে বাধাদান ও আক্রমণ এবং জুয়ার আসর থেকে আটকের দাবি করা হলেও পুলিশের এসব দাবি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতা মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা থেকে অবিলম্বে অব্যাহতি এবং নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।

ছাত্রলীগ সভাপতির মুক্তি দাবিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সাধারণ সম্পাদক।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুবক্কর আবীর, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ইলিয়াস শেখ ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম মাল প্রমুখ। কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্যের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপস্থিত ছাত্রলীগ কর্মীরা। এসময় প্রেসক্লাবের ভেতরে ও বাহিরে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা কর্মী মজিবর রহমানের মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন প্লাকার্ড ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এদিকে পুলিশ উদ্দেশ্যমূলক কাউকে গ্রেফতার করেনি দাবি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহিপুর থানার পরিদর্শক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গত ১৭ আগস্ট রাতে মজিবর রহমানসহ ১০/১২ জন কিংস হোটেলে জুয়া খেলছিল। সেখান থেকে পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতারে সক্ষম হয়।

এনইউবি/এনবি

বাংলাদেশ সময়: ১৪:২৭:১৬ ● ১৪১৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ