বাউফলে ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে সরকারি সম্পত্তি দখল!

প্রথম পাতা » সর্বশেষ » বাউফলে ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে সরকারি সম্পত্তি দখল!
শনিবার ● ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯


প্রতীকী ছবি

বাউফল (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর এলাকায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার সরকারি খাস জমি একটি চক্র ভূঁয়া কাগজ বানিয়ে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ওই এলাকার এক যুবলীগ নেতা লিখিত আকারে উপজেলা সহকারি কমিশনারের (ভূমি) কাছে জানালে ওই চক্রটি বিক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর মৌজার এসএ ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত ৩৬৪০ নম্বর দাগের ৪.৩৪ একর জমি যাহা নদী ও নৌকা চলাচলের জন্য ব্যবহার্য বলে উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে ওই জমি পয়স্তি হয়ে চাষাবাদযোগ্য জমির শ্রেণিভূক্ত হয়েছে। স্থানীয় ভূমিহীন চাষিরা প্রতি বছর সরকার থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সম্প্রতি মাছুদুর রহমানের ছেলে মাহাফুজুর রহমান খান ওরফে খাজা, ছত্তার প্যাদার ছেলে বাবুল প্যাদা, কাঞ্চন আলী মুন্সির ছেলে জামাল হোসেন মুন্সি এবং আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন জমা খারিজ মিস কেস নং ১০৪(বিপিএল)/১৯৮৩-৮৪ মাধ্যমে স্থানীয় ধুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার কর্তৃক ৭০৯/৮ খতিয়ান খুলে ওই জমি দাবি করেন। এনিয়ে স্থানীয় ভূমিহীনদের সাথে তাদের বিবাদের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি গত ১১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহাগ সিকদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত ভাবে অবহিত করেন এবং চলতি বছরের ১ জানুয়ারি সহকারি কমিশনার বাউফল বরাবরে এসএ এন্ড টি এ্যাক্ট এর ১৯৫০ এর ১৫০ ধারায় একটি মিস কেস যাহার নম্বর ২৮-বাউ/২০১৮-২০১৯ দায়ের করেন। ওই মিস কেস সূত্রে জানা গেছে, মাহাফুজুর রহমান ওরফে খাজা গংদের দাবিকৃত  মিস কেস নং ১০৪(বিপিএল)/১৯৮৩-৮৪  কোন হদিস বাউফল উপজেলা ভুমি অফিসে নেই। এছাড়া নতুন সৃজিত ৭০৯/৮ নম্বর খতিয়ানে ভূমি মালিকদের কোন ঠিকানা উল্লেখ নেই। অপরদিকে সরকারি খাস সম্পত্তি বন্দোবস্ত দলিল ব্যতিত নতুন কোন খতিয়ান খোলারও বিধান নেই। অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, উপজেলা ভূমি অফিসের সরকারি গেজেটে ওই জমি নদী-নৌকা ইত্যাদি চলাচলের জন্য ব্যবহার্য লেখা রয়েছে। যাহা হস্তান্তরযোগ্য নয়। এদিকে সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় স্বপ্রনোদিত হয়ে মিস কেস করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওই ভূমি খেকো চক্রের বাবুল প্যাদা বাদি হয়ে সোহাগ সিকাদারসহ ১৭ জন নিরিহ লোকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা সংযুক্ত করে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করে হয়রানি করছেন।
এব্যাপারে বাউফল উপজেলা সহকারি কমিশনার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় তহশীলদারের কাছে প্রকৃত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। বাদি বিবাদিকে কাগজপত্রসহ হাজির হওয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে। তহশীলদারের প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই এবং উভয় পক্ষের কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এপি/এনইউবি

বাংলাদেশ সময়: ৭:২৩:৪০ ● ৫১৮ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ