আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
অতিবর্ষণ ও আমবশ্যার জোঁর প্রভাবে আমতলী ও তালতলীর চর ও নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আমতলী পায়রা নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। দ্রুত পায়রা ফেরির গ্যাংওয়ে সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, অতিবর্ষণ ও আমবশ্যার জোঁর প্রভাবে পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২.৮৫ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলীয় আমতলী ও তালতলীর চর ও নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বাহিরের বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ী তলিয়ে গেছে। তারা কষ্টে জীবনযাপন করছে। তালতলীর নিশানবাড়িয়া, ফকির হাট, সোনাকাটা, নিদ্রাসকিনা, তেতুলবাড়িয়া, আশার চর, নলবুনিয়া, তালুকদারপাড়া, চরপাড়া, গাবতলী, মৌপাড়া, ছোটবগী, জয়ালভাঙ্গা,পচাঁকোড়ালিয়া ও আমতলীর ঘোপখালী, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, পশ্চিম আমতলী, ফেরীঘাট, পুরাতন লঞ্চঘাট, আমুয়ার চর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আঙ্গুরকাটা, গুলিশাখালী ও হরিদ্রবাড়িয়া নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সকল এলাকার মানুষের ঘর বাড়ী জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। অপর দিকে আমতলী পায়রা নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। এতে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। মানুষ হাটু পরিমান পানি ডিঙ্গিয়ে সড়কে উঠছে। দ্রুত পায়রা ফেরির গ্যাংওয়ে সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১ টার সরেজমিনে ফেরিঘাট ঘুরে দেখাগেছে, পায়রা নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষ হাটু পরিমান পানি ডিঙ্গিয়ে সড়কে উঠছে। যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
তালতলীর গাবতলী গ্রামের ছত্তার মিয়া বলেন, অতি বৃষ্টি ও আমাবশ্যার জোঁতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে পায়রা নদী সংলগ্ন চর ও নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরে বসবাসরত মানুষরা উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
গাবতলী আবাসনের জহিরুল ইসলাম বলেন, জোয়ারের পানিতে ঘর তলিয়ে গেছে। ছেলে সন্তান নিয়ে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছি।
আমতলীর পৌর শহরের আমুয়ার চর গ্রামের ফাতেমা বেগম বলেন, জোয়ারের পানিতে ঘর তুলিয়ে গেছে।
পায়রা ফেরিঘাটের পরিচালক মোঃ ছালাম খাঁন বলেন, জোয়ারের পানিতে ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। এতে গ্যাংওয়ে দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত ফেরির গ্যাংওয়ে সংস্কার করা প্রয়োজন।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়সার আলম বলেন, জোয়ারের পানিতে চর ও নি¤œাঞ্চলের ঘর বাড়ী তলিয়ে গেছে কিন্তু কোন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে ভিতরে পানি প্রবেশ করেনি।
এমএইচকে/এমআর