কাউখালীতে সেই অসহায় পরিবারের পাশে ইউএনও

প্রথম পাতা » পিরোজপুর » কাউখালীতে সেই অসহায় পরিবারের পাশে ইউএনও
সোমবার ● ১৭ আগস্ট ২০২০


কাউখালীতে সেই অসহায় পরিবারের পাশে ইউএনও

কাউখালী(পিরোজপুর)সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

সেই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা.খালেদা খাতুন রেখা। তিনি যে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন,সেই পরিবারের একমাত্র উপার্জণক্ষম ব্যক্তি  মো. সোহাগ দু’টি কিডনি  বিকল হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১জুলাই  মারা গেছে।
কাউখালী আমরাজুড়ি আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত দু’টি সন্তান ও স্ত্রী রেখে মারা যাওয়া দিন মজুর সোহাগের ‘পরিবারটি চলবে কীভাবে?’ শিরোনামে প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। আর তা দেখে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা.খালেদা খাতুন রেখা ওই পরিবারের কাছে একটি সেলাই মেশিন, ২টি ছাগল, ৬০কেজি চাল, বাচ্চাদের জন্য শিশু খাদ্যসামগ্রী ও সোহাগের বাবা, মায়ের জন্য শাড়ি, লুঙ্গি পৌঁছে দেন।
সোমবার (১৭ আগস্ট) বিকালে আমরাজুড়ি গ্রামে আবাসন প্রকল্পে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা .খালেদা খাতুন রেখা, উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রিপন চন্দ্র ভদ্র, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খান জুলহাস কবীর, সমাজ সেবক আব্দুল লতিফ খসরু, ইউপি চেয়ারম্যান সেখ সামসুদ্দোহা চাঁন ওই পরিবারের কাছে যান।
জানা যায়, নিহত সোহাগ কাউখালীর পশ্চিম আমরাজুড়ি গ্রামের আব্দুল গাফফারের ছেলে। সোহাগ আবসন প্রকল্পে একটি খুপরি ঘরে স্ত্রী, ছোট ছোট দুটি ছেলে নিয়ে বসবাস করত। সোহাগ পেশায় একজন দিনমজুর। বিগত এক বছর যাবত কিডনি রোগে  অসুস্থ ছিলেন।
চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে না পারায় সাহায্যর জন্য বিভিন্ন মানুষের কাছে কাছে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এর মধ্যে দেখা হয় কাউখালী উপজেলার সমাজসেক আব্দুল লতিফ খসরুর সাথে তিনি সোহাগকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে দেখা করেন। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে দিনমজুর অসহায় সোহাগের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসার জন্য ফেসবুকে একটি পোষ্ট দেন। পরে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে চিকিৎসার জন্য অনুদান দেয়া হয় এগিয়ে আসেন অনেকে।
পরে ১১জুলাই সমাজসেবক আব্দুল লতিফ খসরু সোহাগকে বরিশাল শেরে এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন চিকিৎসার জন্য। ওই দিন তার অপারেশন হয়। পরে সেখানে করোনার ভয়ে বেশ কয়েকদিন সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পরে বাড়িতে আসলে ৩১ জুলাই সোহাগ মারা যান। এরপর থেকেই পরিবারটি দিশেহারা হয়ে যায়।
সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সেখানে গেলে নিহত সোহাগের বাবা গাফফার, মা রহিমোন, স্ত্রী জামিলা  কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ সময় সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে যান পরিবার টি। এ সময় সোহা্েগর স্ত্রী বলেন, আপনারে দেইখ্যা মনে হইছে আমি অহন একলা না।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. খালেদা খাতুন রেখা বলেন, এর আগেও আমরা কাউখালীর অনেক পরিবারকে সহায়তা দিয়েছি। আর এবার আবাসনের সোহাগের অসহায় পরিবারটিকে দিতে পেরে আত্মতৃপ্তি পেয়েছি।

আরএইচআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৩:০২ ● ২৪৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ