পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সহপাঠীদের নিয়ে ঘুরতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে দুই কলেজ ছাত্রী। বৃহস্পতিবার (১৩ আগষ্ট) বিকেলে ধর্ষিতা দুই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই দু’কলেজ ছাত্রী জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে তারা স্থানীয় বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী খান ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য কলেজে কাগজপত্র জমা দেন। জমা শেষে দুপুরের দিকে প্রতিবেশী সহপাঠী সোহাগ খান (২০) ও শাহাদাৎ (২১) কে নিয়ে মঠবাড়িয়া শহর হয়ে ভান্ডারিয়ার হরিণপালা ইকোপার্কে ঘুরতে যাচ্ছিলেন। যাবার পথে দুপুরের দিকে তাদের বহনকারী ইজিবাইক উপজেলার উত্তর মিঠাখালী (মাঝেরপুল) নামক স্থানে নষ্ট হয়। এসময় স্থানীয় উত্তর মিঠাখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য খলিলুর রহমানের পুত্র মাদকসেবী রানা (৩৫), কালামের পুত্র মারুফ (২২), ছিদ্দিক ফরাজীর পুত্র সোহাগ (২২), উত্তর মিঠাখালী গ্রামের জাহাঙ্গির হোসেন ওরফে কালুর পুত্র আবু বক্কার সাগর (২৩), তাদের জিম্মি করে আর্শেদ মিয়ার বাড়ীর সামনে সরকারী পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। এসময় তারা ওই দুই ছাত্রীকে মারধর করে মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। পরে তাদেরকে নির্জণে নিয়ে তিনজনে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এরপর ওই কলেজ ছাত্রীর অভিভাবকদের কাছে মোবাইলে ফোন দিয়ে ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। পরে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার এককলেজ ছাত্রীর নানা মঠবাড়িয়া থানায় ৪জনের নামে মামলা দায়ের করে। মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন ও মঠবাড়িয়া থানা ওসি মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (১৪ আগস্ট) ভোরে উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রাম থেকে জাহাঙ্গির হোসেনের পুত্র আবু বক্কার সাগর (২৩) আটক করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুজ্জামান জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দুই কলেজছাত্রীকে পিরোজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। রাতভর অভিযান চালিয়ে ভোররাতে এজাহারনামীয় আসামি সাগরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
আরএইচএম/এমআর