আমতলীতে রাজলক্ষ্মির কদর নেই!
প্রথম পাতা »
বরগুনা »
আমতলীতে রাজলক্ষ্মির কদর নেই!
আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
রাজলক্ষির আমতলীর হাটে কোন ক্রেতা নেই। রাজলক্ষিকে বিক্রির জন্য মালিক এনামুল আকন অধির অপেক্ষায় হাটে বসে আছেন। ক্রেতা না থাকায় আক্ষেপ করে তিনি বলেন, এই বাজারে রাজলক্ষিকে বিক্রি করতে না পারলে আর গরু লালন-পালনই করবো না।
জানাগেছে, উপজেলার উত্তর টিয়াখালী গ্রামের এনামুল আকন গত তিন বছর ধরে গরু লালন পালন করে আসছেন। তার খামারে ১২ টি গরু রয়েছে। ওই খামারে ২০১৭ সালে রাজলক্ষির জন্ম নেয়। অতি জন্মে লালন পালন করে বড় করে তোলেন রাজলক্ষিকে। এ বছর কোরবানী উপলক্ষে রাজলক্ষিকে বিক্রির জন্য আমতলী উপজেলার বিভিন্ন হাটে নিয়েছেন কিন্তু কোন বাজারেই রাজলক্ষির ক্রেতা নেই। পরপর দুই সপ্তাহে রাজলক্ষিকে হাটে তোলেন। মালিক রাজলক্ষির দাম হেকেছেন দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারনে কোরবানীর পশুর দাম অনেক কমে গেছে। এর প্রভাব পরেছে রাজলক্ষির ওপর।
বুধবার (২৯ জুলাই) রাজলক্ষিকে বাজারে তোলা হলে শুধুই ক্রেতারা এসে দেখে যান এবং উৎসুক জনতা ছবি তোলেন। কিন্তু কেউ দাম হাকেন না। রাজলক্ষির মালিক মোঃ এনামুল আকন আক্ষেপ করে বলেন, সবাই আমার রাজলক্ষিকে দেখে যান এবং ছবি তোলেন কিন্তু দাম বলেন না। করোনার ভাইরাসের প্রভাবে পশুর দাম কমে গেছে। তাই ক্রেতা পাচ্ছি না। রাজলক্ষিকে এ বছর বিক্রি করকে না পারলে আর গরু লালন-পালন করনো না। এদিকে কোরবানীর আর মাত্র দুইদিন বাকি। কিন্তু আমতলীর পশুর হাটে গরুতে সয়লাব হয়ে গেছে। কিন্তু বাজারে তুলনামুলক ভাবে ক্রেতা নেই। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় গবাদি পশুর দাম অনেক কম। এ বছর অনেক গরু অবিক্রিত থেকে যাবে এমন দাবী করেন হাট পরিচালক মোঃ আলাউদ্দিন মৃধা।
আমতলী পৌরসভার সবুজবাগ এলাকার রাসেল মিয়া বলেন, ৪০ হাজার টাকায় গরু ক্রয় করেছি। মনে হচ্ছে তুলনামুলক ভাবে দাম অনেক কম।
তালতলী উপজেলার ঠংপাড়া গ্রামের বাবুল বলেন, বড় গরুর কোন ক্রেতা নেই। দুইটি গরু নিয়ে এসেছি কেউ দাম বলেন না।
আমতলী গরু হাটের ইজারাদার সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে পশু কোরবারীতে মানুষের আগ্রহ কম। তাই এ বছর পশুর দাম কম।
আমতলী থানার ওসি শাহ আলম হাওলাদার বলেন, সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কোরবানী উপলক্ষে পশুর বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে মানুষ নির্বিঘেœ পশু ক্রয়-বিক্রয় করে গন্তব্যে পৌছতে কোন সমস্যা না হয়। তিনি আরো বলেন, জাল টাকা সনাক্তকরন মেশিনসহ সাদা পোশাকে পুলিশ বাজারে কাজ করছে।
এমএইচকে/এমআর
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৫:১২ ●
২২৪ বার পঠিত
(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)