বামনা(বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার বামনা উপজেলার শতবছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী রুহিতা-আমতলী-সফিপুর সার্বজনীন দূর্গা মন্দির ঘরের সামনে অর্ধশত বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করে জমি দখলের চেষ্টা করেছে এলাকার কতিপয় ভুমিদস্যুরা।
রবিবার(২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গাছ রোপণ করে মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা চালায় ওই ভুমিখেকোরা। এঘটনায় মন্দির দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি মনোজ কুমার বিশ্বাস বামনা থানায় দুইজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন আমতলী গ্রামের  নারায়ন চন্দ্র হাওলাদার বাবু(৬৫) ও তার ছেলে দুলাল হাওলাদার(৪০)।
অভিযোগে জানাগেছে, আমতলী গ্রামের নারায়ন চন্দ্র হাওলাদার ওই দুর্গা মন্দিররের জমিতে তার সম্পত্তি রয়েছে দাবী করে দ্বির্ঘ দিন ধরে মন্দির কমিটির সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিলো। তিনি ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি উচ্ছেদের জন্য মন্দির কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যদের নামে একাধীক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই সব মিথ্যা মামলায় তার পক্ষে কোন রায় না পাওয়ায় তিনি ও তার ছেলে দুলাল হাওলাদার রবিবার সন্ধ্যায় মন্দির ঘরের সামনে প্রায় অর্ধশত গাছের চারা রোপণ করেন। এঘটনায় আমতলী গ্রামের সকল সম্প্রদায়ের লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রুহিতা-আমতলী- সফিপুর সার্বজনীন রাধাঁ গোবিন্দ মন্দির ও দুর্গা মন্দিরের সভাপতি মনোজ কুমার বিশ্বাস জানান, বামনা উপজেলার প্রথম প্রতিষ্ঠিত শতবছরের  বছরের ঐতিহ্যপূর্ন এই দুর্গা মন্দিরটি উচ্ছেদের জন্য এক শ্রেণির ভুমিদস্যূ দ্বীর্ঘদিন ধরে পায়তারা চালিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার সন্ধ্যায় নতুন ভড়াটকৃত মন্দির ঘরের সমনে জমিতে গাছের চারা রোপন করে ওই জমি দখলের চেষ্টা করা হয়।
এঘটনায় অভিযুক্ত নারায়ন চন্দ্র হাওলাদারের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বামনা উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি অঞ্জন চ্যাটার্জী বলেন, শতবছরের ঐতিহ্যবাহী আমতলী গ্রামের দুর্গা মন্দিরটির জমি দখলের উদ্দেশ্যে যারা মন্দিরের সামনে গাছের চারা রোপণ করেছেন তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
বামনা থানার অফিসার ইন চার্জম মো. ইলিয়াস  তালুকদার বলেন, মন্দির ঘরের সামনে গাছ রোপণ করে জমি দখলের চেষ্টার একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এইচআর/এমআর