রাঙ্গাবালীতে বিচারের আশায় ভিটেহারা নাজমা!

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » রাঙ্গাবালীতে বিচারের আশায় ভিটেহারা নাজমা!
বুধবার ● ২২ জুলাই ২০২০


আশায়

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পেটের তাগিদে গ্রাম ছেড়ে রাজধানীতে পাড়ি জমিয়েছে নাজমা বেগম (৩৫)। এই সুযোগে তার ভিটেবাড়ি দখল করে নিয়েছে প্রতিবেশী। এনিয়ে অসহায় নাজমা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দারস্থ হয়। কিন্তু সুরহা পায়নি। তাই এখন বিচারের প্রতিক্ষায় রয়েছেন তিনি। ঘটনাটি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরবেষ্টিন গ্রামের।
নাজমা পোশাক শ্রমিক হিসেবে ঢাকায় কাজ করছেন। প্রায় ৫ বছর আগে পেটের তাগিদে তিনি নিজ এলাকা ছাড়েন। তার গ্রামের বাড়ি চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরবেষ্টিন গ্রামে। জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি চরবেষ্টিন মৌজায় অবস্থিত ৭০ শতাংশ জমি কিনেছেন নাজমা ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর সরদার। নিজেদের মাথাগোঁজার জন্য  ওই জমিতে ভিটেবাড়ি গড়েন।
স্থানীয়রা জানায়, নাজমার স্বামী অস্বচ্ছল। ছেলেসহ তিন সদস্যের সংসারে রোজগারের সদস্য নাজমা একাই। নিজ গ্রামে থেকে কোন আয় রোজগার না থাকায় ৫ বছর আগে শহরে পাড়ি জমিয়েছিল নাজমা। আর এই সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী বাচ্চু খন্দকার ও তার ভাই হানিফ খন্দকার মিলে নাজমাদের ভিটেবাড়ি  দখল করে নেয়। একপর্যায় ওই ভিটেবাড়িতে টিনশেড স্থাপনা করা হয়। জমি রক্ষায় এগিয়ে আসলে নাজমার বোন আসমা রোষানালে পরে জমি দখলদারদের।
জমি দখলমুক্ত করতে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপজেলা পর্যায়ের গণশুনানি এবং ১৮ মার্চ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে নাজমার বোন আসমা বেগম। এরআগেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্যদের সমন্বয়ে একাধিক সালিশ বৈঠক হয়। কিন্তু কোন সুরহা হয়নি।
বিচারপ্রার্থী নাজমা বেগম ও তার বোন আসমা বেগম বলেন, ‘জমি দখল করার পরেও নানাভাবে বাচ্চু ও হানিফ খন্দকার আমাদের ওপর হামলা করেছে। নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমরা আমাদের জমি দখলমুক্ত পেতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি।’ সব অস্বীকার করে অভিযুক্ত বাচ্চু খন্দকার বলেন, ‘আমার জমিতে আমি আছি। আমার কাগজপত্রও আছে। আমি কারও  জমি দখল করিনি। অহেতুক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে।’ চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছে। একাধিকবার সালিশও হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা প্রশাসন ছাড়া সম্ভব নয়।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কেএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৪:৪১ ● ২৮৭ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ