চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
চরফ্যাশন উপজেলা শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘুষ লেন-দেনের ফলে ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দের অর্থ গুলো তছরুপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় প্রতি ২৫/৩০হাজার টাকা নিয়ে প্রায় ৫লাখ টাকা বাণিজ্য করেছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগিরা। সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতে ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই বরাদ্দের চেক নিতে হলে প্রধান শিক্ষকগণ শিক্ষা অফিসে ঘুষ দিয়ে চেক আনতে হয়ে বলে তাদের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিছুক জনৈক প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরী বিদ্যালয় প্রতি ২৫-৩০ পার্সেন্ট নিয়ে যায়। ব্যাট কেটে দেড় লাখ টাকা বরাদ্দে ১লাখ ৩০হাজার ৫শ টাকার থাকে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার ঘুষ বানিজ্য ৩০হাজার টাকা স্কুল প্রতি নেয়া হয়। এতে ১লাখ টাকা অবশিষ্ট থাকে। তা দিয়ে বিদ্যালয়ের কাংখিত কোন কাজ করা সম্ভব হয়না। তার মধ্যে আবার কাজের ব্যাপরে জবাব দিহিতাও করতে হয়।
বিগত বছরের শিক্ষা অফিসের হিসাব বিভাগের আবদুস সাত্তারের মাধ্যমে ঘুষ লেন-দেন হলেও চলতি অর্থ বছরে শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরী নিজেই ঘুষ বাণিজ্য গ্রহণ করেন। স্কুল প্রতি পাসেন্টটেজ অনুয়ায়ী ২০/৩০হাজার টাকা করে ১৮ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫লাখ টাকা আদায় করা হয়। আম্পানের ১২টি প্রতিষ্ঠান দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে ওই টাকা চেক বিতরণের শিক্ষা অফিসার প্রায় ৩লাখ টাকা গ্রহণ করারও অভিযোগ রয়েছে।
২০২০-২১ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত বিদ্যালয় গুলো হচ্ছে, নুরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬৭নং বাবুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর আফজাল রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, শরীফপাড়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরফকিরা হাজী খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিন্দুপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৯নং চরশিবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালন, মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শশীভূষণ বাজার হামিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ নীলকমল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৭নং মধ্য হাজারীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরযমুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গফুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পঃ চরনুরুল আমিন রেজিঃ বেঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ওমরাবাজ রেজঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোদেজাবাগ রেজিঃ বেঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এএইচ/এমআর