ঢাকা সাগরকন্যা অফিস ॥
শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বিদেশি কূটনীতিকরা। বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবেন বলেও তারা অঙ্গীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং শেষে এমনটাই জানালেন বিদেশি কূটনীতিকরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক ঢাকার বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় ড. মোমেন নতুন সরকারের ভিশন তুলে ধরেন কূটনীতিকদের সামনে। পাশাপাশি সরকারের পররাষ্ট্র নীতি, রোহিঙ্গা সংকট, জাতীয় নির্বাচনসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশি কূটনীতিকদের সহায়তাও প্রত্যাশা করেন। ব্রিফিং শেষে ঢাকার কূটনৈতিক কোরের ডিন ও ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত আর্চ বিশপ জর্জ কোচারি বলেন, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকার সকল মিশনের কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছেন। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কীভাবে তুলে ধরতে চান সেই পরিকল্পনার কথাও আমাদের অবহিত করেছেন তিনি। আমরা কূটনীতিকরাও প্রতিজ্ঞা করেছি, বাংলাদেশের শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে পাশে থাকবো। সব ধরনের সহযোগিতা দেবো। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ব্রিফিংয়ে আলোচনা হয়েছে কি-না? জানতে চাইলে ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটা উল্লেখ করেছেন। এটা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যা বাংলাদেশ মোকাবেলা করছে।
ব্রিফিংয়ে সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখানে প্রশ্ন-উত্তরের কোনো সুযোগ ছিলো না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার পরিকল্পনা আমাদের জানিয়েছেন। আর কূটনৈতিক কোরের প থেকে আমরাও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি, আর সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। ব্রিফিং থেকে বেরিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন বলেন, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো অর্থনৈতিক কূটনীতি। তিনি অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করতে চান বলে জানিয়েছেন আমাদের।
এদিকে ব্রিফিংয়ের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমবারের মতো কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন। ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকদের তিনি সরকারের ভিশন-২০২১, এজেন্ডা-২০৩০ ও ভিশন-২০৪১ তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে কূটনীতিকদের সহায়তা চান তিনি। এ ছাড়া তিনি অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করতে চান বলেও জানিয়েছেন কূটনীতিকদের। ব্রিফিংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, ফিলিস্তিন, কাতার, মালয়েশিয়াসহ ঢাকার ৫৫টি বিদেশি মিশনের কূটনীতিকরা যোগ দেন।
এফএন/কেএস