শিক্ষা অফিসে অনিয়ম-দূর্ণীতি-চরফ্যাশনে ভূয়া বিল-ভাউচারে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ

প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » শিক্ষা অফিসে অনিয়ম-দূর্ণীতি-চরফ্যাশনে ভূয়া বিল-ভাউচারে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ
সোমবার ● ২০ জুলাই ২০২০


চরফ্যাশনে ভূয়া বিল-ভাউচারে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ

চরফ্যাশন (ভোলা) সাগরকন্যা অফিস॥

 

চরফ্যাশনের ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর অনুকূলে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে বরাদ্দের ১৮লক্ষ টাকা কাজ না করে ভূয়া বিল ভাউচারে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে সব প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ আসছে ওই সকল প্রতিষ্ঠান গুলো অধিকাংশই সাইক্লোন সেল্টার কাম প্রাথমিক বিদ্যালয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি নিয়ম রয়েছে বরাদ্দের টাকা আসলে কাজ করে বিল ভাইচার জমা দিয়ে বিল উত্তোলন করতে হয়। সে নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে চরফ্যাশনের ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয় হিসেবে ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২১ মে/২০ তারিখে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরী উশিঅ/ ফ্যাশন,ভোলা/ ক্ষতিগ্রস্ত/ ২০২০/ ৪৫৪ স্মারকে ১৮টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েল নাম বরাদ্দের জন্যে প্রেরণ করলে শিক্ষামন্ত্রণালয় ১-১২টি প্রতিষ্ঠানে ১লাখ ৫০হাজার টাকা করে মোট ১৮লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
আম্পান বরাদ্দকৃত প্রতিষ্ঠান গুলো হল কুকরি মুকরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢালচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম ঢালচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরসত্যেন উত্তর ঢালচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ মঙ্গল সররকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,  আরকলমী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয, মধ্য চরমনোহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হামিদপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জনতাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম হাজারীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম মহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালন, আদর্শ মোল্লা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়(টিনশেট)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়গুলো আম্পানে তেমন কোন ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। চরফ্যাশনে সরকারি বিদ্যালয় গুলো রয়েছে বিল্ডিং কোন টিনশেট ঘর নেই। কয়টি বিদ্যালয়ের টিনের চালা উড়িয়ে নেয়ার কথা বললেও বাস্তবে ওই বিদ্যালয়গুলার কোন টিনশেড ঘর ছিল না। উপজেলা শিক্ষা অফিসার যোগসাজসে তথ্য গোপন করে ওই বিদ্যালয় গুলোর নামে বরাদ্দ করানো হয়। ইতোমধ্যেই  বিদ্যালয় গুলো কাজ না করেই টাকা উত্তোলনের জন্য ভূয়া বিল ভাউচার বানিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছেন।
সরকারী নিয়ম রয়েছে কোন বরাদ্দ আসলে তার একটি উপ-সহকারী প্রকৌশলী দিয়ে প্রাক্কলন করে বরাদ্দের টাকা গুলো খরচ করবে। তা যথাযথ তদারকির জন্যে তদারকী কর্মকর্তা থাকবে। দেখা যায় এই সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ার নিয়ম না থাকায় সরকারী বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকগন ভূয়া বিল ভাউচার দিয়ে শিক্ষা অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে বরাদ্দ টাকা গুলো আত্মসাৎ হয়। তবে শিক্ষা অফিস একটা পার্সেন্টটিজ নেয় বলে জণৈক শিক্ষক অভিযোগ করেন।
বরাদ্দ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ চর মঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন সেন্টু  তার বিদ্যালয়ে পশ্চিম পাশে টিনশেড ঘর ছিল বলে দাবি করেন।
দেখা যাচ্ছে ওই বিদ্যালয়ের আশ-পাশে কোন টিনশেট ঘর নেই। সেও এই আম্পান ক্ষতিগ্রস্থ বরাদ্দের দেড়লাখ টাকার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছে।

এএইচ/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১০:২৭:২৫ ● ৩৫৬ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ