ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
ইন্দুরকানীতে এক যুগেও সংস্কার হয়নি পাড়েরহাট ইউনিয়নের এলজিইডির অধিকাংশ সড়ক। উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের চালনা লাহুরী সড়ক ও টগড়া খেয়াঘাট হইতে কালীবাড়ি সড়ক পর্যন্ত আংশিক কাজ ফেলে রাখায় এলাকাবাসী মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার। এ বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই।
সরেজমিনে পরিদর্শণে দেখা যায়, চালনা লাহুরী সড়ক নির্মাণ কাজ অর্ধেক সম্পন্নের পর বাকী কাজ ৪বছরেও শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এ অবস্থায় রাস্তায় অসংখ্যে গর্তে ভরা চলাচলের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তা নির্মাণের জন্য জলবায়ু ট্রাস্টের মাধ্যমে মেসার্স ইসলাম ব্রার্দাস নামে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ পায়। তারা কাজ নিজেরা না করে পিরোজপুরের ২জন সাব-ঠিকাদার দ্বারা কাজ পরিচালনা করছেন। কিন্তু তারা কাজ সম্পূর্ন না করে ইটের খোয়া ফেলে চলে যান। নিয়মিত চলাচলকারী রিক্স্রা ইজিবাইক চালকরা জানান, রাস্তাটি ৪ কিঃমি কয়েক বছর ধরে ইটের খোয়া ফেলে রাখায় রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক পথচারী মোটরসাইকেল আরোহীরা প্রায়শ:ই দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, রাস্তাগুলোর এমন অবস্থা মনেই হবেনা এখানে কখনো কার্পেটিং রাস্তা ছিল। খোয়া ভাঙ্গাচুরা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে অনেক অসুস্থ, বয়স্ক ও অন্তঃসত্ত্বা যাত্রীদের খুব কষ্ট হয় এবং নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটে। অপরদিকে, টগড়া কালীবাড়ী সড়কের ২ কিঃ মিঃ কার্পেটিং রাস্তা ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আর পুণ:নির্মাণ কাজ না করায় পিচ ও ইটের খোয়া উঠে এখন কাদা রাস্তা পরিণত হয়েছে। রাস্তাটি ১৫বছর ধরে সংস্কারবিহীন এবং পুণঃনির্মাণ না হওয়ার কারণে রাস্তাটি এখন খালের পরিণত হয়েছে । যাহার ফলে পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পাড়েরহাট ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার বাবুল জানান, রাস্তা ২টি ব্যাপারে পিরোজপুর এলজিইডি শাখায় গিয়েছিলাম, তারা শুধু শান্তনা দিয়েই খালাস, তারা বোঝেননা যে, জনপ্রতিনিধিদের উঠতে বসতে গালি শুনতে হয় এবং উপজেলা প্রকৌশলি অফিসে বার বার যোগাযোগ করা হলেও কোন গুরুত্ব দেয় না । যাতে রাস্তা ২টি দ্রুত কাজ হয় সে ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলি রবিন্দ্রনাথ দাস জানান, চালনা লাহুরী সড়কের কাজ ফেলে রাখায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিক বার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে এবং টগড়া কালিবাড়ী সড়কের ২কিঃ মিঃ রাস্তা ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় কাজ হয়েছিল এখন ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় না থাকায় কাজ হয়নি । তবে নির্মাণ কাজের জন্য বরাদ্দের চাহিদা পাঠানো হয়েছে । বরাদ্দ আসলে কাজ করা হবে ।
এমএসকে/এমআর