পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের নাজিরপুরে পৃথক হামলায় এক মুক্তিযোদ্ধা সহ ৮জন আহত হয়েছে। আহত ৩জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার (১৮জুলাই) জমি নিয়ে বিরোধের জেরে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ বানিয়ারী গ্রামের প্রতিপক্ষের হামালায় মোঃ আফজাল হোসেন সর্দার (৮১) নামের এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার নাতি সাব্বির হোসেন সর্দার(২২) কে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের যুগিয়া গ্রামের উভয় পক্ষের হামলায় ৬জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত মুক্তিযোদ্ধার কন্যা সাবিনা খানম জানান, স্থাণীয় বেলায়েত সর্দার আমাদের একটি জমি জোর করে খাচ্ছে। এ নিয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন সর্দার জিজ্ঞাসা করতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল সর্দার ও বেলায়েত সর্দারের নেতৃত্বে ১০/১২জন তাকে প্রথম লাথি ও পরে বেধমভাবে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় আমার ভাইপো তাকে ছাড়াতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বেলায়েত সর্দার ও ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল সর্দারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তারা জানান, ওই মুক্তিযোদ্ধার নাতি প্রথমে বেলায়েত সর্দারের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় পরে তাকে ৫/৬টি চর থাপ্পর দেয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার উপর কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
স্থাণীয় মাটিভাঙ্গার বানিয়ারি ফাঁড়ি পুলিশের এসআই মোঃ শাহজামান জানান, হামলার ঘটনা শুনে সেখানে গিয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া শুক্রবার (১৭জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের যুগিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে ওই গ্রামের দেলোয়ার শেখের স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৪২) ও তার পুত্র মামুন শেখ (২৫) এবং প্রতিপক্ষের মোফাজ্জেল শেখ (৬০), তার স্ত্রী আঞ্জুয়ার বেগম (৪৫), পুত্র আরমান শেখ (১৮)সহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহত মোফাজ্জেল, তার স্ত্রী ও পুত্রকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নাজিরপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার বিষয়টি শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএইচএম/এমআর