কলাপাড়া সাগরকন্যা অফিস॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় চলছে উন্নয়নের কর্মকান্ড। সমুদ্রবন্দর ও পায়রা বন্দর সহ একাধিক মেগা প্রজেক্টের কাজ এখানে চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল ,মাদ্রাসা ও কলেজর ছাত্র-ছাত্রী ও হাজার হাজার মানূষ কলাপাড়া উপজেলা শহরে আসতে হয়। কাঁচা রাস্তাটিমেরামত না করার কারনে প্রতিদিন ছোট-খাট দৃর্ঘটনা ঘটেই চলছে। তাই জনমনে ক্ষোভের দীর্ঘশ্বাস বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-কুয়াকাটা মহা সড়কের শেখকামাল সেতুর নিচ দিয়ে পুর্ব দিকে একটি বেড়িবাঁধ রয়েছে। যা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন নীলগঞ্জ ইউনিয়নকে দূর্যোগ ও জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে রক্ষার জন্য বহুবছর পূর্বে নির্মান করা হয়। এ রাস্তাটি সংলগ্ন একটি আবাসন প্রকল্প সহ তিনটি গ্রামের কয়েকশ পরিবার বসবাস করছে। কলাপাড়া পৌরশহরের কলাপট্রি, বাদুরতলী, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজার ও চাপরাশি বাড়ি এ চারটি খেয়াঘাট এ রাস্তাটির সাথে সংযুক্ত। তাই প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এ রাস্তা সংলগ্ন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইকেøান শেল্টার ও একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা সহ কলাপাড়া উপজেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে। তাই বর্ষা মৌসুম আসলেই রাস্তাটিতে হাটু পানি জমে থাকে ও সমস্ত রাস্তা কর্দমাক্ত হওয়ার কারনে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাতায়ত ব্যাহত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র কাছকাছি হওয়ায় প্রতিদিন সরকারী স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা অসুস্থ রোগীসহ সাধারন জনগনের যাতাযাত একেবারে অসম্ভব হয়ে পরে। তাই কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। এলাকাবাসি,পথচারী, ছাত্র-ছাত্রী, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি অতিদ্রুত পাঁকা করে চলাচল উপযোগী করে দিলে দীর্ঘ দিনের কষ্ট লাগব হবে।
এ বিষয়ে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোহর আলী বলেন, রাস্তাটির স্কিম প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আগামি ডিসেম্বর নাগাদ টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাস্তাটি পাকা করার কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করা যায়। তবে রাস্তাটির উপর পল্লিবিদ্যুৎ এর পিলার থাকার কারনে স্কিম প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। এ পিলার সরানোর ব্যাপারে পল্লিবিদ্যুৎ অফিসে আমি একটি চিঠিও দিয়েছি কিন্তু এখনও কোন অগ্রগতি দেখছিনা। বিদুতের পিলার সরানো না হলে রাস্তাটির উন্নয়ন কাজ বিঘিœত হতে পারে বলেও তিনি জানান।
এসকেআর/এমআর