স্কুল ফিডিং কর্মসূচি-বামনায় বিস্কুটে খুশি শিশুরা, বিপাকে অভিভাবকরা

প্রথম পাতা » বরগুনা » স্কুল ফিডিং কর্মসূচি-বামনায় বিস্কুটে খুশি শিশুরা, বিপাকে অভিভাবকরা
বৃহস্পতিবার ● ১৬ জুলাই ২০২০


বামনায় বিস্কুটে খুশি শিশুরা, খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বিপাকে অভিভাবকরা

বামনা (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

বরগুনার বামনা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের খাদ্যসামগ্রী শিার্থীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা সুশীলন ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) উপজেলা সদরের পূর্ব সফিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রতিটি শিক্ষাথীর অভিভাবকদের কাছে প্রাথমিক ভাবে ওই সংস্থাটির প্রতিনিধি ও শিক্ষকরা খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। এতে শিার্থীরা বিস্কুট পেয়ে খুশি হলেও অভিভাবকরা খাদ্যসামগ্রী নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে স্কুল ফিডিং এর খাদ্য পৌঁছে দেবে সুশীলন-সংস্থা।

বাস্তবায়নকারী সংস্থা সুশীলনের অফিস কর্তা নিখিল বাবু জানান, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী মহামারি কোভিড-১৯ এর  প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা দেশজুড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে যে সকল এলাকায় সরকারের স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু রয়েছে সে সব এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিার্থীদের শারীরিক পুষ্টি স্বাভাবিক রাখার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুল ফিডিং এর খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যাতে শিার্থীরা বাড়িতে থাকলেও তারা পুষ্টি থেকে বঞ্চিত না হয়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নকারী সংস্থা সুশীলন পর্যায়ক্রমে এ উপজেলায় ৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি এবতেদায়ী বিদ্যালয়সহ মোট ৮৯৩৬ শিার্থীর মাঝে ৩৮ প্যাকেট পুষ্টিগুণ সম্পন্ন বিস্কুট, ১কেজি ৮২৫ গ্রাম চাল, ৩২৪ গ্রাম ডাল ও ৭০ গ্রাম করে সোয়াবিন ভোজ্য তৈল বিতরণ করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক জানান বিস্কুট দেওয়া ঠিক ছিল। অন্য সামগ্রী পরিমান কম হওয়ায় তা নিতেও আমাদের সমস্যা হয়েছে এবং তাদের পরিবেশন করতে সমস্যা হচ্ছে। এতে আমরা বিপাকে পড়েছি।

এ ব্যাপারে পূর্বসফিপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আঃ মালেক গাজী জানান, স্কুল ফিডিং বাস্তবায়নকারী সংস্থা সুশীলন এর সাথে আমি সহযোগিতা করেছি এবং পরিপত্র মোতাবেক বিস্কুট ও খাদ্যসামগ্রী অভিভাকদের মাঝে বিতরণ করেছি। কিন্তু আমার মনে হয়, সরকার বা বাস্তবায়নকারী সংস্থা সুশীলন প্রত্যেক অভিভাবকের হাতে ৩৮ প্যাকেট বিস্কুট দিলে ভাল হত এবং অভিভাবকদের গণহারে ০১কেজি ৮২৫ গ্রাম চাল, ৩২৪ গ্রাম ডাল ও ৭০ গ্রাম সোয়াবিন ভোজ্য তৈল না দিয়ে, কোভিট-১৯ মহামারিতে বিদ্যালয়ের গরীব অসহায় অভিভাবক বেঁছে বেঁছে বেশি করে খাদ্য সামগ্রী দিলে ভাল হত এবং গরীব অভিভাবক উপকৃত হত।

সুশীলন বরগুনা জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারের স্কুল ফিডিং কর্মসূচি এ উপজেলায় সুশীলন বাস্তবায়ন করছে। দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমাদের স্কুল ফিডিং এর জন্য মজুদকৃত খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হতে পারে বলে। তাই সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঐ সকল খাদ্যসামগ্রী শিার্থীদের বাড়ি বাড়ি আমাদের কর্মীরা পৌঁছে দিচ্ছে।

এইচআর/এমআর

বাংলাদেশ সময়: ২০:৩০:২১ ● ৮৭৯ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ