নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
শুকনো মৌসুম কিংবা বর্ষা, রাস্তার প্রায় তিন কিলোমিটার অংশ জুড়ে সারা বছরই থাকে কাদা কিংবা বালু। কাদা আবৃত থাকা এই রাস্তাটি এখন বর্ষা মৌসুমে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলার বৃহত্তর গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের হরিপুর, পাদুমপুর, ধানজুরীর প্রধানতম এই সড়কটি বর্তমান গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের হরিপুর, পাদুমপুর, অংশের এই বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই! অথচ এই সড়ক দিয়ে হরিপুর মৌজার ১০/১২ টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ প্রতিদিন আসা যাওয়া করে থাকে।
অন্যদিকে এখানকার আম, লিচু, কাঠাল ও সবজি উপজেলা শহরে বিক্রির জন্য বাজারজাত করতে এই রাস্তাটির ওপর নির্ভর করতে হয় এখানকার গ্রামের মানুষগুলোকে। পার্শ্ববর্তী হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর বিদ্যালয় এবং হরিপুর দাখিল মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই রাস্তা আসা যাওয়া করে থাকে। বর্তমানে বৃষ্টির দরুণ কাদামাটি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় হরিপুর-পাদুমপুর রাস্তাটি সম্পূর্ণ চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা পাকাকরণের দাবি এখনো পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। শুধু দায়সারা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা জুড়ে হাঁটু সমান কাদা থাকায় সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। রাস্তার আশপাশের ঘরবাড়ির মানুষ অনেকটাই ঘরবন্দী জীবন-যাপন করছেন। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এই রাস্তা দিয়ে গবাদিপশু বিচরণ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মোঃ যোবায়ের হোসেন সোহেল বলেন, এমনিতেই এখানে সারাবছর কাদা, বালি থাকে কিন্তু বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাটি সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরায় এলাকার লোকজন আসা যাওয়া করতে পারছেনা গ্রামের সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে এই রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের দাবি জানাই।’
হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, ‘শুধু এই রাস্তার কারণে এখানকার উৎপাদিত আম, কাঠাল, লিচু ও সবজি উপজেলা শহরে বাজারজাত করতে বাড়তি টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। এছাড়া অধিক সময়ও ব্যয় হচ্ছে। এই রাস্তা পাকা করা হলে হরিপুরের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।
এমএমআর/এমআর