আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের নোমের খালের ব্রীজের অ্যাপোচ সড়ক নির্মাণের পাঁচ দিনের মাথায় দেবে গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নি¤œমানের গাইড ওয়াল ও ইট-বালু দিয়ে তড়িগড়ি কাজ সম্পন্ন করায় সড়কটির এ অবস্থা হয়েছে। সড়ক সংস্কার করা না হলে ব্রীজ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ এ বছর মার্চ মাসে গুলিশাখালী ইউনিয়নের নোমোর খালের ব্রীজের অ্যাপোচ সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহবান করে। দুই লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ পায় কবির হোসেন নামের এক ঠিকাদার। জুন মাসের শেষের দিকে তড়িগড়ি করে নি¤œমানের গাইড ওয়াল ও ইট-বালু দিয়ে ওই সড়কের কাজ শেষ করে। ৩০ জুন অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কাজ শেষ হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় অ্যাপ্রোচ সড়কটির দুই পাশের গাইড ওয়াল ভেঙ্গে সড়ক দেবে গেছে। অ্যাপ্রোচ সড়ক দেবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধের পথে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে গুলিশাখালী ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার মানুষ। দ্রুত ওই সড়কটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন ঠিকাদার কবির হোসেন তড়িগড়ি করে নি¤œমানের গাইড ওয়াল ও ইট-বালু দিয়ে কাজ করায় সড়কের দুই পাশের গাইড ওয়াল ভেঙ্গে সড়ক দেবে গেছে। ওই সড়কের মাঝখান দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। যে কোন সময় পুরো সড়ক দেবে যেতে পারে বলে আশংঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী।
ইজিবাইক চালক মনির হোসেন বলেন, ব্রীজের অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের পাঁচ দিনের মাথায় সড়কের গাইড ওয়াল ভেঙ্গে সড়কের দুই পাশ দেবে গেছে। এখন সড়কে মাঝখান দিয়ে কোন মতে গাড়ী নিয়ে চলাচল করছি। দ্রুত সড়কটি নির্মাণের দাবী জানাই।
ঠিকাদার মোঃ কবির হোসেন অ্যাপ্রোচ সড়ক দেবে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, দ্রুত ওই সড়ক সংস্কার করে দেওয়া হবে।
গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বলেন, অ্যাপ্রোচ সড়ক দেবে যাওয়ার খবর পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। তিনি আরো বলেন, গাইড ওয়াল ভেঙ্গে সড়ক দেবে গেছে।
আমতলী উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শরাফ উদ্দিন বলেন, ঠিকাদারকে অ্যাপ্রোচ সড়ক সংস্কার করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সংস্কার না করলে তার জমানত দিয়ে ওই সড়ক সংস্কার কাজ করা হবে।
এমএইচকে/এমআর