দুমকির এলএইচসিবিতে হামলা, দু’কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » দুমকির এলএইচসিবিতে হামলা, দু’কর্মকর্তা লাঞ্ছিত
বুধবার ● ৮ জুলাই ২০২০


---

দুমকি (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥

পটুয়াখালীর দুমকিতে একটি বে-সরকারী হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কর্মকর্তাদের মারধর, আসবাবপত্র, ল্যাপটপ, সিসি ক্যামেরা ভাংচুর ও লুটপাট করেছে আ’লীগের ক্যাডার বাহিনী। বুধবার (৮ জুলাই)দুপুর দেড়টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে এ সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাটি ঘটেছে। আ’লীগের পক্ষ থেকে অবশ্য হামলা, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, বরখাস্তকৃত নার্স মৃতুঞ্জয় মন্ডল ও তার স্ত্রী যুথিকা মন্ডলকে চাকুরীতে পূর্ণ:বহালের জন্য স্থানীয় আ’লীগের তরফ থেকে বেশ কিছু দিন ধরে লুথ্যারান হাসপাতাল (এলএইচসিবি) কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে আসছিল। বুধবার এ ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বোর্ড মিটিং চলছিল। বোর্ড মিটিং চলাকালে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ১০/১২জনের একটি সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী লুথ্যারান হাসপাতালের অফিস কক্ষে জোড়পূর্বক ঢুকে বরখাস্তকৃত নার্সদেরকে চাকুরীতে পুণ:র্বহাল করা হয়নি কেন? প্রশ্ন করে পরিচালক সাগর রোজারিও, ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডেভিড ঘোষকে শারীরীক ভাবে মারধর করে ও আসবাবপত্র ভাংচুর-তছনছ করে। হামলাকারী অন্যান্য ক্যাডাররা হামলা ভাংচুরের প্রমাণ নস্ট করার উদ্দেশ্যে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থান থেকে সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, কন্ট্রেল কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ভাংচুর ও মেমোরিগুলোসহ ইলেক্ট্রনিক্স মালামাল লুঠ করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার পূর্বেই হামলাকারীরা হাসপাতাল ত্যাগ করে দ্রুত চলে যায়।
হামলা ও মারধরের শিকার সাগর রোজারিও বলেন, আমরা এখানে চাকুরী করতে এসেছি। নিয়ম-কানুন ঠিক রেখে হাসপাতাল পরিচালনার মাধ্যমে এখানে মানুষদের সেবা করছি। হাসপাতালের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে অন্যায় ভাবে আমাদের হেনস্থা করা হলো। বে-আইনী কাজ করতে রাজী না হওয়ায় ক্যাডার বাহিনী হামলা- ভাংচুর করলো। তিনি বলেন, আসলে এলএইচসিবি ওই ক্যাডার বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ডেভিড ঘোষ অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন আ’লীগের সভাপতির নেতৃত্বে এমন সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুরের ঘটনা অনাকাঙ্খিত। এমন বে-আইনী হামলার ঘটনার বিষয়টি উর্ধতন কর্তপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, হামলাকারীরা যতই শক্তিশালী হোউক তারা কেউ আইনের উর্ধে নয়। আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
হামলা-ভাংচুর ও কর্মকর্তাদের মারধর প্রশ্নের জবাবে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন- কাউকে মারধর কিম্বা ভাংচুর করা হয়নি। নার্স যুথিকা মন্ডলকে কেন চাকুরিচ্যুৎ করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করেছি মাত্র।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো: জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃক পক্ষের লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

এমআর

বাংলাদেশ সময়: ১৮:০৮:১৬ ● ৩০১ বার পঠিত




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আর্কাইভ