আমতলী (বরগুনা) সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
বরগুনা তালতলী উপজেলা পূর্নাঙ্গ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাবীতে সোমবার প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চুয়াল মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। এ মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত অর্ধ লক্ষ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লাইফে অংশ গ্রহন করেছেন।
সোমবার (৬ জুলাই) বেলা ১১ টায় ৫ মিনিট ব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ হাসপাতালের দাবী জানান তারা। এ মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে পূর্নাঙ্গ হাসপাতাল কার্যক্রমের দাবী জানান। মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রামণের কারনে অভিনব এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন অবহেলিত তালতলীবাসী।
জানাগেছে, ২০০৮ সালে তালতলীতে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। হাসপাতাল স্থাপনের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হয়নি। এতে উপজেলার অন্তত দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ২০১২ সালে তালতলী থানাকে উপজেলায় রুপান্তিত করা হয়। উপজেলা রুপান্তিত হলেও পূর্নাঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুপ নেয়নি। হাসপাতালের ছয়জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি। সমুদয় পদ খালী রয়েছে। পাঁচ জন চিকিৎসক প্রেষনে নিয়োগ দিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে। হাসপাতলাটি ২০ শয্যার হলেও এখন পর্যন্ত কোন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। এছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসা যন্ত্রাংশের নেই। ওই হাসপাতালের নামে অর্থনৈতিক কোড না থাকায় বরাদ্দ হচ্ছে না। বরাদ্দ না থাকায় যন্ত্রাংশ কেনা যাচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। প্রেষণে নিয়োগ দেয়া চিকিৎসকরাও ঠিকমত হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এছাড়া এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নামে ওষুধ বরাদ্দ নেই। তালতলী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত ওষুধ দিয়ে চালাতে হচ্ছে ২০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত কোন রোগীকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। পূর্নাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রমের দাবীতে সোমাবার তালতলীর অন্তত অর্ধ লক্ষ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চুয়াল মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।
তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ মাষ্টার বলেন, পূর্নাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম না থাকায় উপজেলার লক্ষাধীক মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সাধারণ রোগ হলেও তালতলীবাসীর আমতলী, বরগুনা, পটুয়াখালী ও বরিশালে যেতে হয়। দ্রুত পূর্নাঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রমের দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ও তালতলী ২০ শয্যা হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ওই হাসপাতালের ছয় জন চিকিৎসকের পদের বিপরীতে পাঁচ জন চিকিৎসক প্রেষনে নিয়োগ দেয়া আছে। কিন্তু ওই হাসপাতালের নামে অর্থনৈতিক কোড নেই। কোড না থাকায় বরাদ্দ পাচ্ছি না। অর্থনৈতিক কোডের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যন্ত্রাংশ না থাকায় পূর্নাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না।
এমএইচকে/এমআর