পিরোজপুর সাগরকন্যা প্রতিনিধি॥
পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্কুল ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্মাণাধীন ভবনের সিড়ি নির্মাণ কালে তা ভেঙ্গে গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের ১৮নং উত্তর সাচীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মানের কাজ চলছে। সাড়ে ৬৮ লাখ টাকা ব্যায়ে মেসার্স আবির এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণের কাজ পায়। আর ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নির্মাণ কাজটি করাচ্ছেন স্থাণীয় সুজিত শিকদার নামের একজন ঠিকাদার।
স্থানীরা অভিযোগ করে জানান, ওই ভবন নির্মাণে নিম্ম মানের উপকরণ ব্যাবহার করা হচ্ছে। শুরুতে ভবনের বেইজের ঢালাইতে নিম্মমানের ইট ব্যবহার করা হয়। ওই ভবন নির্মাণে অনিয়মের কারণে নির্মাণের ৩/৪দিনের মধ্যেই ২৫জুন এর সিড়িটি ভেঙ্গে পড়ে। তারা আরো অভিযোগ করে জানান, কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাহামুদুল হাসানকে বিষয়টি জানালে তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, নির্মাণ কাজের সাথে জড়িতরা সেন্টারিং এর মালামাল আগে খুলে ফেলায় সিড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। ওই ভবন নির্মাণের কাজের দায়িত্বে থাকা প্রধানমিস্ত্রী জানান, সিড়ির ধাপ নির্ধারিত থেকে একটি কম হওয়ায় ইঞ্জিনিয়ার আসার আগেই সিড়ি ভেঙ্গে নির্ধারিত ধাপ করা হয়েছে। তবে ওই কাজের এক মিস্ত্রি জানান, সিড়ির কিছু অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় পুরো সিড়ি ভেঙ্গে ঠিক করে ফেলা হয়েছে। এসময় ওই মিস্ত্রি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তার নাম প্রকাশ না করতে জোড় অনুরোধ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য জানান, কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ সহকারী প্রকৌশলী কাজের কাছে ঠিকমতো আসেন না। তাকে কাজের অনিয়মের বিষয় জানালে তিনি কোন কর্নপাত করেননি।
তবে অভিযুক্ত উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহামুদুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কাজের তদারকি ঠিক মতো করছি। ওই সিড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কি কারণে তা ভেঙ্গে পড়েছে তা জানি না। তবে তা ঠিক করে ফেলা হয়েছে।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই কাজে ব্যবহারের জন্য স্কুল মাঠে স্তুপ করে রাখ আছে নিম্ম মানের বালু, মরিচা পড়া রড় ও ময়লা মেশানো পাথরের খোয়া।
নির্মাণ কাজে অনিয়মের বিষয় উপজেলা স্থাণীয় সরকার প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, কাজের অনিয়মের বিষয় তদন্ত করে দেখা হবে। অনিয়ম পেলে সে অংশ ভেঙ্গে ফেলা হবে।
আরএইচএম/এমআর
