কলাপাড়া (পটুয়াখালী) সাগরকন্যা অফিস॥

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের চম্পাপুর গ্রামে মঙ্গলবার থেকে স্ত্রীর মর্যাদা দাবীতে প্রেমিকের চাচার বাড়ীতে প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এ খবর পেয়ে প্রেমিক মিঠুন সিমলাই আতœগোপন করেছে।
প্রেমিকা ইশানী হাওলাদার জানান, চম্পাপুর গ্রামের নির্মল সিমলাই’র ছেলে মিঠুন সিমলাই’র সাথে ক্লাশ সপ্তম শ্রেনীতে পড়াশোনা করা অবস্থায় প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ সাত বছর ধরে সম্পর্ক চলাকালীন বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কপালে সিদুঁর পড়িয়ে দেয়।এতে ইশানী  মনে প্রাণে মিঠুনকে স্বামী হিসেবে গ্রহন করে বিভিন্ন সময় রাত্রি যাপন করে। এতে সে অন্তঃসত্বাও হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মিঠুন ইশানীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে ইশানীর বাবা পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার অধিবাসী সমির রঞ্জন হাওলাদার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার জন্য ঠিক করেন । এ খবর পেয়ে প্রেমিক মিঠুন ইশানীকে স্ত্রী হিসেবে নিবে বলে আশ্বাস দিয়ে বিয়েটি ভেঙ্গে দেয়। সে আশায় পুনরায় বুক বাঁধে প্রেমিকা ইশিনী নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। ইতিমধ্যে মিঠুন অন্যত্র বিয়ে করার প্রস্তুতি নিলে বিষয়টি ইশানী জেনে স্ত্রীর দাবীতে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেমিক মিঠুনের বাড়ীতে আশ্রয় নিতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয়। পরে ইশিনী একই বাড়ীর ওপরে মিঠুনের চাচা জয়দেব সিমলাই’র বাড়ীতে স্ত্রীর দাবীতে অবস্থান নিয়েছে ।
উল্লেখ্য, গেল চৈত্র মাসেও ইশানী  স্ত্রীর দাবীতে মির্জগঞ্জ থেকে প্রেমিক মিঠুন সিমলাই’র বাড়ীতে এসেছিল । সে সময় স্থানীয়রা তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিল  বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিঠুন সিমলাই’র সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তা তিনি রিসিফ করেননি।
স্থানীয় ইউ,পি সদস্য রবিন হাওলাদার জানান,বিষয়টি কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে । তবে মিঠুন সিমলাই বিষয়টি অন্যায় করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
চম্পাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রিন্টু তালুকদার জানান,ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এসকেআর/এমআর